হায়দরাবাদ: পয়লা অক্টোবর ইন্টারন্যাশনাল কফি ডে ৷ পানীয় হিসাবে কফি কমবেশি সকলেরই পছন্দের ৷ তবে চিকিৎসকদের মতে অতিরিক্ত কফি পান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক ৷ কিন্তু আপনি কি জানেন, যদি নিয়মিত পরিমাণ মেনে কফি পান করা যায় তাহলে তা স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভাল? অ্যানালস অফ ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কফি মানুষের আয়ু বাড়াতে পারে ৷ এমনকী, হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকিও কমায় ৷ তাহলে চলুন আন্তর্জাতিক কফি ডে-তে কফির কী কী উপকারিতা রয়েছে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ৷
- হতাশা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে কফি বা ক্যাফাইন ৷ এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দিনে চার কাপ কফি যারা পান করেন, তাঁদের ডিপ্রেশন রিস্ক অনেকটা কম থাকে ৷ ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী কফি পান করেন এমন প্রায় 2 লাখেরও বেশি মানুষের মধ্যে আত্মহত্যা করার প্রবণতা কম দেখা গিয়েছে ৷
- 'টাইপ টু' ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে কফি ৷ নিয়মিত কফি পান করলে, এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায় ৷ কফির মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেটিভ এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি প্রভাব এই রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে ৷
- কফি পান করলে মহিলাদের মধ্যে বেশ কিছু রোগ থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি কম হয় ৷ করোনারি হার্টের সমস্যা, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস ও কিডনির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে ৷ দিনে এক কাপ থেকে দু'কাপ কফি পান করলে হার্ট সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমায় ৷
- লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে কফি ৷ সমীক্ষা বলছে, যাঁরা কফি পান করেন তাঁদের লিভার অনেকটা ভালো থাকে তুলনায় যাঁরা কফি পান করেন না ৷
- ডিএনএ সেল নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে ডার্ক রোস্ট কফি ৷ আসলে ডিএনএ সেল প্রাকৃতিকভাবেই নিজের চরিত্র পরিবর্তন করে ৷ কিন্তু যদি এই কোষ শক্তিশালী না হয়, তাহলে ক্যানসার বা টিউমারের মতো কঠিন রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ৷
এছাড়াও অ্যালঝাইমার্স, স্ট্রোক, কোলন ক্যানসারের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে কফি ৷ তবে ডায়েটারি গাইডলাইন ফর আমেরিকান জার্নাল অনুসারে তিন কাপ থেকে চার কাপ কফি একদিনে পান করা যেতে পারে ৷ তবে গর্ভবতী মহিলা বা যিনি সন্তানকে দুধ পান করান, তাঁদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ৷ এছাড়া কফি পান করা উচিত দুধ ও চিনি ছাড়া ৷ তবেই তা স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত হবে ৷