অনুমোদনপ্রাপ্ত ক্লিনিক্যাল সোশ্যাল ওয়ার্কার এবং ট্রমা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, এডুকেটর লিজা ফেরেন্টজ, হাফপোস্টকে জানিয়েছেন, “যাদের এর অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাদের কাছে বিষয়টা অত্যন্তই বিভ্রান্তিকর । কারণ সাধারণভাবে এটি এমন ব্যবহারশৈলীর মধ্যে পড়ে, যাকে প্রাথমিকভাবে যত্নশীল বলে ভ্রম হতে পারে ।” প্রাথমিকভাবে তারা এমন সদয় এবং বিবেচকের ন্যায় আচরণ করতে পারেন, যা তাদের নিপীড়িত বা নিপীড়িতার বিশ্বাস জিততে সাহায্য করে । লিজা ব্যাখ্যা করে জানালেন, “তারা নিপীড়িত বা নিপীড়িতার আস্থা অর্জন করে ফেলেন যার ফলে নিপীড়িত-নিপীড়িতাকে বার বার নিগ্রহ সহ্য করে যেতে হয় ।”
এখানে সেই 5 টি ইঙ্গিতের কথা বলা হল, যা জানিয়ে দেবে, আপনি কোনও অবমাননাকর সম্পর্কে আছেন কি না ।
1. আপনি সবসময় আপনার সঙ্গীকে যাতে হতাশ হতে না হয়, তার চেষ্টা করেন
আপনি একের পর এক অনুমান করছেন এবং নিজের যুক্তিকেই খণ্ডন করে চলেছেন । যার অর্থ এই যে আপনি ঈষৎ অবমাননাকর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েও তাকে নিজের করে নিয়েছেন যাতে আপনার সঙ্গীর ব্যবহারে তা জোরালোভাবে প্রকাশ না পায় । এমনটাই জানিয়েছেন সাইকোলজিস্ট তথা ‘লাভ উইদাউট হার্ট’-এর লেখক স্টিভেন স্টোসনি । এর অর্থ এটাও যে আপনি স্বাধীন নন এবং নিজের বাড়িতে নিরাপদও নন । আপনি স্রেফ দেখছেন, আপনার কাজের প্রেক্ষিতে কী কী ঝুঁকি হতে পারে আর চেষ্টা করছেন, আপনার সঙ্গীর ঠিক করে দেওয়া নিয়মনীতি মেনে চলার ।
2. সম্পর্কে আধিপত্য খাটানোর চেষ্টা করছেন আপনার সঙ্গী
সাইকোলজিস্ট তথা ‘উওম্যান উইথ কন্ট্রোলিং পার্টনারস’-এর লেখিকা ক্যারল এ ল্যামবার্ট বলেছেন, “আপনার সঙ্গীটি আপনাকে বাস্তবের আয়না দেখান । কোনও জিনিসের সম্পর্কে সওয়াল করেন বা বিপক্ষে বলেন কিংবা তথ্য বিকৃত করেন, শুধুমাত্র আপনাকে এটা বোঝানোর জন্য যে তাঁরা কোন জিনিসকে কীভাবে দেখছেন । এটা জাহির করার সবথেকে সাধারণ উপায় হল ‘তুমি ঠিক করে মনে করতে পারছে না’, ‘আমি কখনও তা বলিনি’ কিংবা ‘আমি কখনও তা করিনি’। তারা হয়তো এটা জাহির করার চেষ্টা করেন যে, আপনার কথায় কোনও যুক্তি নেই বা আপনার ধারণায় কোনও ভুল আছে অথচ বাস্তব সেটা নয় । এর কারণ, তাদের প্রতিক্রিয়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার মনে নিজের সিদ্ধান্তকে সন্দেহ করার ধারণা তৈরি করতে পারে এবং আপনি আপনার সঙ্গীর দেখানো পথেই চলতে পারেন । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের সিদ্ধান্তকে সন্দেহ করার প্রবণতা আপনার ধ্যানধারণা ও বিচারে আস্থার অভাব তৈরি করতে পারে যার ফলে আপনি আপনার সঙ্গী, যিনি আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তার উপর মানসিকভাবে আরও নির্ভরশীল হয়ে পড়তে পারেন ।”