রায়গঞ্জ, 28 সেপ্টেম্বর : স্বামীর স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে এখন দুর্গা প্রতিমা গড়েন । এখনও বিভিন্ন সিজ়নে মূর্তি গড়াই তাঁর পেশা । যদিও আজকাল শরীর খুব একটা সঙ্গ দেয় না ৷ তাই বেশি করে মূর্তিও গড়তে পারেন না তিনি । কিন্তু যে কটা তৈরি করেন, তা বিক্রি করে পেট চলে যায় মা-ছেলের ।
জেলার একমাত্র মহিলা শিল্পী, যার হাতে তৈরি হচ্ছে চিন্ময়ী মায়ের মৃন্ময়ী রূপ - জেলার একমাত্র মহিলা শিল্পী, যার হাতে তৈরি হচ্ছে চিন্ময়ী মায়ের মৃন্ময়ী রূপ
রায়গঞ্জের কাঞ্চনপুর কুমোরপাড়ার বাসিন্দা অর্পিতা । স্বামীর স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে এখন দুর্গা প্রতিমা গড়েন ।
রায়গঞ্জের কাঞ্চনপুর কুমোরপাড়ার বাসিন্দা অর্পিতা । মৃৎশিল্পী হিসেবে তাঁর স্বামী গণেশ পালের খ্যাতি ছিল দুই দিনাজপুরেই । প্রায় 20 বছর ধরে বিভিন্ন বড় পুজো কমিটি থেকে বরাত পেতেন । শুধু দিনাজপুর নয় । মালদা থেকেও প্রতিমা গড়ার বায়না আসত । কিন্তু 2015 সালে মৃত্যু হয় তাঁর । কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে? এই ভেবেই দিনরাত এক হয়ে যেত অর্পিতাদেবীর । শেষে স্বামীর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে নিজেই মূর্তি গড়ার দায়িত্ব নেন । ছেলে কলকাতার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়রিং কলেজের পড়ুয়া । তাঁর পড়াশোনার খরচা চালাতেও এখন এই জীবিকাই সাহায্য করছে ।
হাতে আর মাত্র ক'টা দিন বাকি । তাই দিনরাত এক করে দশভূজার মূর্তি তৈরিতে এখন ব্যস্ত তিনি । কীভাবে শিখলেন মূর্তি তৈরির কাজ? অর্পিতাদেবী জানান, স্বামীর সঙ্গে থেকে কাজ একটু আধটু করতেন তিনি । আর এই কাজ কীভাবে পেশায় পরিণত হল? অর্পিতাদেবী বললেন, "আমি কয়েক বছর ধরেই প্রতিমা তৈরির কাজ করে আসছি । তবে স্বামীর মৃত্যুর পর বর্তমানে এটি আমার পেশায় পরিণত হয়েছে । আমার স্বামীর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতেই এই কাজ করে চলেছি । খুব বেশি লাভ না হলেও সংসার খরচ চালাতে এই পেশাই ভরসা । স্বামীর কাছেই আমার হাতে খড়ি । ওর থেকে শিখেছি মা দুর্গার চিন্ময়ী রূপকে মূর্তিতে পরিণত করতে । আপ্রাণ চেষ্টা করি যা অর্ডার পাই তা সময় মতো শেষ করতে । এই বছরও আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করছি ঠিক সময়ে সব কাজ শেষ করার ।"