রায়গঞ্জ, 14 জানুয়ারি : মহিলাদের উপর অত্যাচার করত । সম্মান করত না । তাই খুন করেছেন । এবং তাতে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই । বরং, যে পুরুষরা মহিলাদের সম্মান দেয় না, বাজে দৃষ্টিতে দেখে তাদের প্রত্যেকরই তাঁর মতো খুনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত । সাংবাদিকের সামনে নিজের মুখে সে কথা বললেন রায়গঞ্জে ঠিকাদার খুনে ধৃত মহিলা সরস্বতী মিশ্র ঝাঁ ।
পেশায় ঠিকাদার । নাম গোপাল দাস (42) । শনিবার রায়গঞ্জের উকিলপাড়ার একটি ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে পড়ে দেখে কিছু স্থানীয় । তারা গোপালকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায় । সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ।
কেন খুন করেও কোনও অনুশোচনা নেই সরস্বতীর ? এই ঘটনায় নাম উঠে আসে সরস্বতী ঝাঁ-র । তার এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে । এই সরস্বতীর সঙ্গে গোপালের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর । কিন্তু কয়েকদিন ধরে তাদের মধ্যে বচসা চলছিল । তার জেরেই শনিবার রাতে সরস্বতী গোপালকে ফাঁকা মাঠে ডেকে নিয়ে যায় । তারপর ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে খুন করে বলে অভিযোগ গোপালের পরিবারের ।
গোপালের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় সরস্বতীকে । আজ সাংবাদিকের সামনে গোপালকে খুনের কথা স্বীকার করে সে । জানায়, মানসিকতা খারাপ ছিল গোপালের । সরস্বতী বলে, "কোনও মেয়েকে মেয়ে বলে ভাবত না । খারাপ চোখে দেখত । আগে থেকে রাগ ছিল আমার । যেসব পুরুষরা মেয়েদের সম্মান করে না, অত্যাচার করে সেইসব অসুর দস্যুদের যেন এইভাবেই শেষ করে দেয় মহিলারা ।"