রায়গঞ্জ, 31 মার্চ : কোরোনার জেরে বাতিল হয়েছে সবরকম ধর্মীয় অনুষ্ঠান । তাই জাকজমক ছাড়াই শুধু নিয়ম মেনে হচ্ছে বাসন্তী পুজো । জনমানব শূন্য মন্দিরে মন্ত্রোচ্চারণে পুজো সারছেন পুরোহিত ।
20 জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে বাতিল হয়েছে অনেক পুজোর অনুষ্ঠান । বাতিল হয়েছে বাসন্তী পুজোর অনুষ্ঠানও । আজ সপ্তমীতে তাই শুধু ঘট আর নিয়ম মেনে নবপত্রিকা স্নানের মধ্যে দিয়ে পুজো সারল রায়গঞ্জের বিভিন্ন পুজো কমিটি ।
রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বেশ জাকজমক করেই পালিত হয় বাসন্তী পুজো । প্রায় 1-2 মাস আগে থেকেই মূর্তির বায়না পান মৃৎ শিল্পীরা । প্যান্ডেল খাটিয়ে পুজোর আয়োজনও শুরু হয় 10-15 দিন আগে থেকে । কিন্তু এবার ধু ধু মাঠ । নেই প্যান্ডেল । নেই গান-বাজনা বা মন্ত্রচ্চারণের ধ্বনি । যা দেখলে এক ঝটকায় মনে হবে কেউ নেই এলাকায় । নেই বাচ্চাদের হই-হুল্লোরও । শুধু মন্দিরে এক বা দু'জন বসে পুজোর নিয়ম সারছেন । যে পুজো শেষ হতে এতবছর সন্ধে নামত আজ তা শেষ হল সকাল 10 টাতেই ।
এবিষয় ক্লাব কর্মকর্তা পাপ্পু দাস জানিয়েছেন, কোনওরকম বাহ্যিকতা নয়, শুধুমাত্র ঘট বসিয়ে নিয়মরক্ষার স্বার্থে পুজো করা হচ্ছে । মন্দিরে লোকজন যাতে না আসে তার জন্য মন্দিরের গেট বন্ধ রাখা হয়েছে ।
কোরোনার জেরে পুজো বন্ধের জন্য এদিকে মাথায় পড়েছে অনেকের । মৃৎ শিল্পীরা বায়না পায়নি সেভাবে । প্যান্ডেলও বন্ধ ফলে ডেকরেটার্সের ব্যবসাও বন্ধ । তাদের কথায়, এভাবে আর ক'দিন চলবে জানি না । গাজনও বন্ধ । ফলে অনেকটাই ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের । তবে, কোরোনার জেরে এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে তারা । ব্যবসা বন্ধ থাকলেও জীবন আগে, বলছে অনেকে ।
