রায়গঞ্জ, 4 মার্চ : কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামে-গঞ্জে ভোটারদের অভয় বার্তা পৌঁছে দিলেন পুলিশ আধিকারিকেরা। আজ রায়গঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ করে ৷ পাশাপাশি তারা কথা বলেন সাধারন মানুষদের সঙ্গে। সুষ্ঠভাবে যাতে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, সেজন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সর্বতভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই ভূমিকায় সন্তুষ্ট রায়গঞ্জের ভোটাররা। ভোটের সময় গ্রামে কোনও গন্ডগোল বা অশান্তি না হওয়ারই কথা বলেছেন গ্রামের বাসিন্দারা ৷
27 ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তার আগে 25 তারিখেই উত্তর দিনাজপুরে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকদের সাহায্য নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী শহর থেকে গ্রামে রুটমার্চ শুরু করে। সোমবার রায়গঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিকেরা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের রাড়িয়া গ্রামে রুটমার্চ করে।
রায়গঞ্জে ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার আশ্বাস কেন্দ্রীয় বাহিনীর
ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের অনেক আগে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ ৷ আজ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিকরাও রায়গঞ্জের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখেন ৷ ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার আশ্বাসও দেন ৷
আরও পড়ুন :ভোটের আগে রাজ্যে দুষ্কৃতীর প্রবেশ রুখতে নদী সীমান্তে কড়া নজরদারি
কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রায়গঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিকেরা গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন। কেউ কোনওরকম হুমকি দিচ্ছে কিনা , অশান্তি করছে কিনা বা ভয় দেখাচ্ছে কিনা তা গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসা করার পাশাপাশি তাদের নির্ভয়ে ভোটদান করার আশ্বাস দেন। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই ভূমিকায় খুশী গ্রামের ভোটাররা। তাঁরা বলেন, এখানে কোনও অশান্তি বা ভয় দেখানোর মত কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চের ফলে তাঁরা নিশ্চিন্ত ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিকেরা কোনও সমস্যা হলে থানায় বা প্রশাসনকে জানানোরও আবেদন করেন। অনেকেই বলেন পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তি হলেও বিধানসভা ভোটে আগে কোনওদিনই গন্ডগোল হয়নি। ফলে তাঁরা নির্ভয়েই ভোট দিতে যাবেন।