রায়গঞ্জ, 16 মে : লকডাউনের জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে তরমুজ চাষিরা । লকডাউনের জন্য খদ্দের না থাকায় লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার এই চাষিরা । যে চাষি 5 বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে প্রায় 2 লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতেন, এই বছর লকডাউনের ফলে তা মাত্র 35 হাজার টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে । ফলে লাভের মুখ দেখা তো দূরের কথা, তরমুজ চাষে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরা।
লকডাউনে ক্ষতির মুখে তরমুজ চাষিরা - রায়গঞ্জ
কোরোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনের জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে তরমুজ চাষিরা । লকডাউনের জন্য খদ্দের না থাকায় লাখ লাখ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার তরমুজ চাষিরা ।
![লকডাউনে ক্ষতির মুখে তরমুজ চাষিরা ছবি](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/768-512-7220614-454-7220614-1589615376034.jpg)
উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলা, কানকি, মনোরা, চাকুলিয়া প্রভৃতি এলাকায় প্রতিবছর তরমুজ চাষ করে লাখ টাকা উপার্জন করেন বেশ কিছু চাষি । দেশজুড়ে কোরোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার আগেই চাষিরা শয়ে শয়ে বিঘার জমিতে তরমুজের চাষ শুরু করেছিলেন । ফলনও হয়েছিল প্রচুর । কিন্তু কেরোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে চলা লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়ে গেছে সমস্ত হাট-বাজার ও মানুষজনের চলাফেরা । ঘরবন্দী হয়ে রয়েছেন মানুষ । ফলে চাষিদের উৎপাদিত তরমুজ কেনার খদ্দের নেই । গত বছর যেখানে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হয়েছে 20 টাকা দরে সেখানে এবছর মাত্র 4 থেকে ৫ টাকা প্রতি কেজি দরে বিকোচ্ছে তরমুজ । ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তরমুজ চাষিরা ।
মহম্মদ আকবর আলি জানালেন, তিনি 5 বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে মাত্র 35 হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পেরেছেন যেখানে গত বছর প্রায় ২ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছিলেন । এবছর তরমুজ চাষের খরচই ওঠেনি লাভ তো হয়নি । এমনই অবস্থা জেলার অন্যান্য তরমুজ চাষিদেরও । কোরোনার জন্য দেশজুড়ে চলা লকডাউনে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার তরমুজ চাষিরা । এরপর লকডাউন খুললেও জমিতে বিক্রির মতো তরমুজ আর থাকবেনা । শেষ হয়ে যেতে চলেছে তরমুজের মরশুম । ফলে সমূহ ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরা।