রায়গঞ্জ, 2 এপ্রিল : "কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার, চাই না হতে রাজকুমার।" আজ এই স্লোগান তুলে উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্কুলে ভোটকর্মীরা ভোটের প্রশিক্ষণ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি, ভোটের সময় প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না হলে তাঁরা ভোটের ডিউটি করবেন না।
"কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার, চাই না হতে রাজকুমার" - loksabha election
উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন ভোটকর্মীরা। তাঁদের দাবি, ভোটের ডিউটিতে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থাকতে হবে। তবেই তাঁরা ভোটের ডিউটি করবেন।
আজ সুদর্শনপুর দ্বারিকাপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্র ও সারদা বিদ্যামন্দিরে নির্বাচন আধিকারিকরা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এসে ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ঘরে যেতে বলেন। তখন প্রশিক্ষণ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ভোটকর্মীরা। ভোটকর্মীদের আন্দোলনের জেরে কার্যত আজ জেলার বিভিন্ন স্কুলে চলা ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভকারী এক ভোটকর্মী প্রিয়রঞ্জন পাল বলেন, "রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক প্রেস স্টেটমেন্টে যা বলেছেন তাতে আমরা আতঙ্কিত। তাতে বলা হয়েছে, ভোটকর্মীদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াই ভোটের ডিউটিতে পাঠানো হবে। আমাদের কাছে রাজকুমারের স্মৃতি এখনও জ্বলজ্বল করছে। ফলে আমরা আতঙ্কিত। আমরা মনে করি, আমাদের জীবনও বিপন্ন হতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা ছাড়া। ফলে আমরা ঠিক করেছি, নো সিকিউরিটি, নো ডিউটি। আমাদের সংক্ষিপ্ত দাবি, আমরা উপযুক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা ছাড়া ভোটে যাব না। আমরা প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে দাবি জানাচ্ছি।"
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইটাহারে একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোটকর্মী হিসেবে ১৪ মে কাজে যোগ দিয়ে নিখোঁজ হয়ে গেছিলেন রহতপুর হাই মাদ্রাসার শিক্ষক রাজকুমার রায়। ঠিক তার পরদিন রায়গঞ্জের সোনাডাঙি এলাকায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ভোটকর্মীরা। সেকারণেই এবার লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়া ভোটের ডিউটিতে যেতে নারাজ উত্তর দিনাজপুর জেলার ভোটকর্মীরা। তাঁরা কেউ আর রাজকুমার হতে চান না। খবর পেয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আসেন জেলা নির্বাচন আধিকারিকরা।