রায়গঞ্জ, 19 সেপ্টেম্বর : কোরোনা আবহে এবারের পুজোর ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান অনেকেই । সব পুজো কমিটি ছোটো পুজো করে মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার ব্যবহারে গুরুত্ব দিচ্ছে। উত্তরবঙ্গের অন্যতম সেরা দুর্গোৎসব পালিত হয়ে থাকে উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জ শহরে।
রায়গঞ্জ শহরে 30টি বড় বাজেটের পুজো হয় । তারমধ্যে 10টি পুজো কমিটির দুর্গাপুজা কলকাতার সঙ্গেও পাল্লা দিয়ে থাকে। কিন্তু এবছর কোরোনার কারণে সবকিছু থমকে গেছে। ম্লান হয়ে গেছে রায়গঞ্জের বড় বাজেটের পুজোগুলো ৷
অন্যান্য বছর পুজোর তিনমাস আগে থেকে মণ্ডপ নির্মাণের কাজ শুরু হত । কিন্তু এবছর একটি বাঁশও পড়েনি । কয়েকটি পুজো কমিটি মাঠের ঘাস ছাঁটা ও বাঁশ ফেলার কাজ শুরু করেছে। তবে পুজোর বাজেট অর্ধেকেরও কম। কোরোনা ও লকডাউনের কারণে সাধারণ মানুষের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতির করুণ দশা হয়েছে। তাই এবার সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী কারও কাছে চাঁদা তুলে পুজো করা যাবে না । পুজো কমিটির সদস্যরাই নিজেরা টাকা দিয়ে কোনওরকমে পুজোটা সারবেন ।
জাঁকজমক ও জৌলুস না করে সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রেখে এবং রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনেই এবার ছোটো করে দুর্গাপূজা করতে চলেছে বিভিন্ন ক্লাব । রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি, অমর-সুব্রত স্পোর্টিং ক্লাবের মতো বড় বাজেটের পুজো কমিটিগুলিও কোনওরকমে পুজো সারতে চাইছে ।
রায়গঞ্জ শহরের কয়েকটি বিগ বাজেটের দুর্গাপূজা হয়ে থাকে। সুদর্শনপুর সর্বজনীন, অমর-সুব্রত স্পোর্টিং ক্লাব, শাস্ত্রী সংঘ, বিদ্রোহী ক্লাব, সমাজ সেবক সংঘ, বিপ্লবী ক্লাব বিশাল বাজেটের পুজো করে দর্শকদের মন জয় করে আসছে। কেউ অক্ষরধাম মন্দির, কেউ মায়াপুরের ইস্কন মন্দিরের আদলে সুদৃশ্য মণ্ডপ ও সুন্দর প্রতিমা তৈরি করে রাজ্যের সেরার শিরোপা পুজোর সম্মানও লাভ করেছে। কিন্তু এবার কোরোনা আবহে সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে ।
ছোটো ও কম বাজেটের মধ্যে যতটুকু আকর্ষণীয় করা যায় সেটাই করছেন পুজো কমিটির কর্মকর্তারা। তবে পুজো মণ্ডপে প্রবেশ করতে গেলে অবশ্যই দর্শনার্থীদের পরতে হবে মাস্ক এবং ব্যাবহার করতে হবে স্যানিটাইজ়ার। সেই ব্যাবস্থাও মণ্ডপে মণ্ডপে রাখছেন পুজো কমিটিগুলি। মানা হবে সামাজিক দূরত্ব বিধি এবং রাজ্য সরকারের সমস্ত কোরোনা সংক্রমণ নির্দেশিকা মেনে চলার কথা বলছেন তাঁরা ।