রায়গঞ্জ, 29 মার্চ : লকডাউনের জেরে গৃহবন্দী মানুষ। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় নেমে লকডাউন মানার প্রয়োজনীয়তা সবাইকে বোঝাচ্ছেন । ঠিক সেই সময় উলটো চিত্র দেখা গেল উত্তর দিনাজপুরে। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের একাংশ ব্যস্ত রইলেন মাছ ধরতে ।
লকডাউনে গৃহবন্দী মানুষ, মাছ ধরলেন 2 প্রশাসনিক আধিকারিক - coronavirus news
দেশজুড়ে লকডাউনে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না মানুষ ৷ ঠিক সেই সময় উত্তর দিনাজপুরের কর্ণজোড়া এলাকায় থাকা সরকারি পুকুরে ছিপ ফেলে মাছ ধরলেন অতিরিক্ত জেলা শাসকসহ দুই আধিকারিক ৷
কর্ণজোড়া এলাকায় থাকা সরকারি পুকুরে ছিপ ফেলে মাছ ধরতে দেখা যায় অতিরিক্ত জেলা শাসককে । প্রশ্ন করতেই তাঁর সাফ উত্তর, সারাদিন কাজের পর দপ্তরের সামনে থাকা এই পুকুরে মাছ ধরছি। এতে "অন্যায়ের" কিছু দেখেননি তিনি । বরং কাজের শেষে একটু হালকা হতেই তাঁর এই কাজ বলে অকপটে জানিয়েছেন। অতিরিক্ত জেলা শাসক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রদীপ বিশ্বাসের সঙ্গে মাছ ধরছিলেন আরও এক আধিকারিক ।
দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। কার্যত কেউই বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না ৷ কোরোনা ভাইরাসের আতঙ্কে জর্জরিত সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বারবার প্রশাসনের তরফ থেকে মানুষকে বাড়িতে থাকার অনুরোধ করছে প্রশাসন । বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা । কিন্তু, অন্য চিত্র ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুর জেলার সদর শহর রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায়। সরকারি গাড়ি দাঁড় করিয়ে মাছ ধরতে দেখা গেল প্রশাসনিক আধিকারিকদের। জেলা পরিষদের অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রদীপ বিশ্বাস এবং তাঁর এক সহযোগী মিলে প্রায় ১০টি ছিপ ফেলে মাছ ধরার বন্দোবস্ত করেছিলেন। তবে অনেকক্ষণ চেষ্টার পরেও মাছ না ওঠায় আক্ষেপ করেন তাঁরা । সাংবাদিকের প্রশ্নে খানিকটা বিরক্ত হয়ে জবাব দেন, সামনেই কন্ট্রোলরুম। সেখানেই দুপুর দুটো অবধি কাজ করেছেন তাঁরা । তারপরে এসে এই পুকুরে মাছ ধরছেন এতে অন্যায়ের কিছু নেই ।