রায়গঞ্জ, 16 জুলাই: প্রায় দু'মাস গ্রীষ্মের ছুটির পর পঠনপাঠন শুরু হয়েছে রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলিতে। কিন্তু এই ভরা আষাঢ় মাসেও বৃষ্টির দেখা নেই। তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলাতে। স্কুলের পডুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে তাই সকালে স্কুল খোলার দাবি জানাচ্ছেন অভিভাবক থেকে শিক্ষকরা (Teachers and Guardian Want to Start Morning Shifting School for Heat Wave) ৷
দিনের তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে 37-40 ডিগ্রির মধ্যে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্থি। এই পরিবেশে দিনের বেলায় লোক চলাচল কমে গিয়েছে রাস্তাঘাটে। আর এই প্রচণ্ড গরমে স্কুলে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে পড়ুয়ারা। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গায় স্কুলে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পরছে তারা।
স্বাভাবিক কারণেই স্কুলগুলিতে কমতে শুরু করেছে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির হার। ঘন-ঘন লোডশেডিং এর জেরে বেশ কিছু স্কুলে পঠনপাঠন চলছে গাছতলায়। ভ্যাপসা গরমে স্কুলে আসার অসুবিধার কথা জানিয়েছে পড়ুয়ারা। বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা বলছেন এই গরমে প্রায় প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। স্কুলে উপস্থিতির হার ক্রমশ কমে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন :স্কুলবাড়ি নেই, আট বছর ধরে চাষির বাড়িতেই শিক্ষার আলো পাচ্ছে গ্রামের বাচ্চারা
এই পরিস্থিতিতে সকালে পঠনপাঠন শুরু করা প্রয়োজন। দাবি উঠেছে স্থানীয় স্তরে আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে ছুটি ঘোষণার ৷ অন্যদিকে, জেলা শিক্ষাদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতির কথা রাজ্যস্তরে জানানো হয়েছে। পর্ষদ থেকে এখনও কোনও নির্দেশ আসেনি। নির্দেশ এলে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।