ভগ্নপ্রায় স্কুলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে ক্লাস রায়গঞ্জ, 1 সেপ্টেম্বর: ভগ্নপ্রায় স্কুলের পাশেই বয়ে চলেছে নদী ৷ যে কোনও মুহূর্তে স্কুল বিল্ডিং ভেঙে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা । প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সেখানেই চলছে পঠনপাঠন । এমনই ছবি উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের 9নং গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিটিয়ার এলাকায় অবস্থিত নয়াটুলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ।
স্কুলের পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে নাগর নদী । বন্যায় নাগর নদীর জলে বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো বেহাল হয়ে পড়েছে । ইতিমধ্যেই ভবনের একাংশের দেওয়াল ভেঙে গিয়েছে । পাশাপাশি গোটা বিদ্যালয় ভবনের দেওয়াল, মেঝে ও ছাদে মারাত্মকভাবে ফাটল ধরেছে । মেঝে থেকে দেওয়ালের সংযোগের একেবারেই নড়বড়ে অবস্থা । যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে গোটা ভবন । পাশাপাশি ফাটল দিয়ে ঢুকতে পারে সাপও ৷ এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যেই প্রাণ হাতে করে চলছে পঠনপাঠন । শুধু তাই নয়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে মিড-ডে মিল রান্নাও ৷
আরও পড়ুন : বন্ধ পঠন-পাঠন, ত্রিপল টাঙিয়ে মিড-ডে মিল রান্না ; বেহাল ঘাটালের আইসিডিএস সেন্টার
এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা 127 । স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা 5 জন । তবে বিদ্যালয়ের অবস্থা দেখে ছাত্রছাত্রীরা রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছে । এদিকে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়েও সারাদিন দুশ্চিন্তায় থাকছেন অভিভাবকরাও । কিন্তু এভাবে আর কতদিন ? একটা দুর্ঘটনা না-ঘটলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না ? অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা ।
পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া সাবিনা ইয়াসমিন ও নাজিম শেখের কথায়, "একটা ঘরেই চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস হয় ৷ তাতে খুব অসুবিধা হয় ৷ ওদের ক্লাস চলাকালীন আমরা বসে থাকি আর আমাদের ক্লাসের সময় ওরা বসে থাকে ৷ ঘরটা ফেটে গিয়েছে অনেকটা ৷ যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে ৷ আমাদের নতুন করে একটা স্কুল হোক এটা চাই ৷"
পড়ুয়াদের পাশাপাশি একইভাবে আতঙ্কে সারাদিন কাটাতে হয় বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরুণ কুমার দাস । তাঁর কথায়, "একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনও কাজ হয়নি । বিধায়ক থেকে শুরু করে বিডিও সকলেই স্কুল পরিদর্শন করে গিয়েছেন ৷ কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি ৷ বর্তমানে যতটা সম্ভব সতর্কতা অবলম্বন করে পঠনপাঠন চলছে । নতুন স্কুল তৈরি হোক এটাই চাই ৷"
আরও পড়ুন : ক্লাস থেকে উধাও পাখা,বেঞ্চ ! ভগ্নপ্রায় জানালা-দরজা, বেহাল দশা বাঁকুড়ার স্কুলের