আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধায়করা রায়গঞ্জ, 10 জানুয়ারি:অর্নিদিষ্ট কালের জন্য় ধরনায় বসেছেনরায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপকরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ধর্নায় বসেছেন মোট 20 জন অতিথি অধ্যাপক । অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকা জারির পরেও প্রায় তিন বছর পার ৷ অথচ এসএসিটি (SACT) টিচারদের কোনও সুবিধাই তাঁরা পাচ্ছেন না । এমনকী 5 জন অতিথি শিক্ষক- শিক্ষিকা তাঁদের প্রাপ্য বেতনও পাচ্ছেন না । অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের অধ্যাপক এবং চুক্তি ভিত্তিক শিক্ষকেরা সমস্ত সুবিধা পাচ্ছেন না।
এদিন রাতে ধরনা চলাকালীন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও বাণিজ্য বিভাগের ডিন প্রশান্ত কুমার মহলা, এস্টেট অফিসার অমিত মণ্ডল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন । অতিথি অধ্যাপক সংগঠনের ইউনিট সভাপতি ডঃ রাগিব আলি মিনহাজ বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্দেশিকা জারির পরও আমাদের কোনও সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। তাই আজ আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হয়েছেন । বিগত তিন বছর ধরে তারা আন্দোলনে সামিল থাকলেও কোনও রকম সুফল পাচ্ছেন না।"
জানা গিয়েছে, ধরনায় বসার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কুমার রায়ের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা ও করেছেন এসএসিটি অধ্যাপকরা ৷ তবে সমস্যা সমাধানের জন্য কোনও দিশা দেখাতে পারেননি উপাচার্য দীপক কুমার রায়। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা ৷ সমাধান না হলে আগামি দিনে বৃহত্তম আন্দোলনের পথে যেতেও পিছপা হবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা ।
অপর এক অতিথি অধ্যাপক সংগীতা প্রামাণিক জানান, প্রয়োজনীয় ডিগ্রি এবং রাজ্য সরকারের আদেশ থাকা সত্ত্বেও তিনি সঠিক সাম্মানিক পাচ্ছেন না । তার কথায়, '"উপাচার্য বা রেজিস্ট্রার-এর কাছে আবেদন করলে তাঁরা বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে প্রয়োজনীয় ফান্ড নেই। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকিছুই স্বাভাবিক ভাবে চলছে ।" বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট অফিসার তথা ওয়েবকুপার সদস্য অমিত কুমার মণ্ডল আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবিকে সমর্থন করেন ৷ সেই সঙ্গে তাঁদের দাবি পূরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন।
আরও পড়ুন:
- সংসারের হাল ধরতে গিয়ে থমকে যায় পড়াশোনা, 45 বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ বীথিকার !
- পারদ নামতেই বেড়েছে চাহিদা, রায়গঞ্জে দেদার বিকোচ্ছে ধোঁয়া ওঠা গরম ভাপা-পিঠে
- শ্বশুরবাড়িতে ঘুরতে এসে খুন হলেন জামাই ! পোল্ট্রি ফার্মে আগুন উত্তেজিত জনতার