পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Kaliaganj Murder Case: টেনে-হিঁচড়ে নয়, নাবালিকার দেহ অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ, দাবি এসপি'র

গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে নিখোঁজ ছিল দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। পরে পুকুর থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়েকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।

Etv Bharat
দেহ অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ, দাবি এসপির

By

Published : Apr 22, 2023, 9:40 PM IST

দেহ অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ, দাবি এসপির

কালিয়াগঞ্জ, 22 এপ্রিল: ঘরে-বাইরে চাপের মুখে অবশেষে ঢোক গিললেন রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার ! কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃতদেহ যেভাবে কার্যত চ্যাংদোলা করে পুলিশকে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে, তার জন্য এলাকার পরিস্থিতিকেই দায়ী করেছেন পুলিশ সুপার ৷ অবশ্য ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাসও শনিবার শোনা গেল পুলিশ সুপার সানা আখতারের গলায় ৷ যদিও তাঁর সাফাই, পরিস্থিতির চাপেই পুলিশ দেহ নিয়ে আসে এলাকা থেকে ৷ তবে টেনে-হিঁচড়ে নয়, পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সে দেহ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করেন পুলিশ সুপার ৷

ওয়াকিবহল মহলের দাবি, নৃশংসতা আদিম উদাহরণ যেন দেখা গিয়েছে কালিয়াগঞ্জে। শুক্রবার দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর মৃতদেহ পুলিশের বিরুদ্ধে টেনে-হিঁচড়ে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ যার জেরে শনিবারও উত্তপ্ত ছিল এলাকা। পুলিশের এই বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন গ্রামবাসীরা। সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিজেপিও পুলিশের এই ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেছে। নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় মহিলা কমিশনও। ইতিমধ্যেই কমিশনের তরফে রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে । এর মাঝেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সানা আখতার জানান, তদন্তের স্বার্থে পুলিশ কার্যত নিরুপায় হয়ে মৃতার দেহটি ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ৷ তবে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার কথা অবশ্য মানতে চাননি পুলিশ সুপার ৷

এদিন রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সানা আখতার বলেন, "তদন্তের জন্যই ঘটনাস্থল থেকে দেহ সরিয়ে পাশে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে করে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে ৷ তদন্তের জন্য আমাদের তথ্য, প্রমাণ জোগাড় করতে হয় ৷ সেকারণেই তাড়াতাড়ি দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷" পাশাপাশি ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি যদি তদন্তে উঠে আসে তবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি ৷ অন্যদিকে, এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের সুবিধার্থে হিন্দুমতে সৎকার না-করে বাড়ির সামনেই গর্ত খুঁড়ে নাবালিকার দেহ পুঁতে রেখেছেন পরিবারের লোকজন।

গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে নিখোঁজ ছিল দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। গতকাল বাড়ির পিছনে একটি কালবাগান ঘেরা পুকুর থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়েকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এরপর মৃতদেহ নিয়ে যথাযথ পুলিশি তদন্ত এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে পথ অবরোধ শুরু করেন পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে গোটা গ্রামের মানুষ। দেহ নিতে আসলে পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। পরবর্তীতে এ নিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। সেই সময়ই পুলিশ ওই নাবালিকার মৃতদেহ চ্যাংদোলা করে টেনে-হিঁচড়ে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল, নিন্দায় মুখপাত্র কুণাল

গ্রামবাসীদের দাবি, এই ঘটনায় এক অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও সে একা এই কাজ করেনি। তার সঙ্গে আরও চার-পাঁচজন জড়িত রয়েছে বলেও অভিযোগ। এদিন মৃত কিশোরীর বাড়িতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, বিধায়ক খগেন মুর্মু, শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি-সহ আরও অনেকে। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে বিজেপিও। পাশাপাশি মামলার যাবতীয় খরচ তারা বহন করবেন বলেও জানান সুকান্ত মজুমদার।

ABOUT THE AUTHOR

...view details