রায়গঞ্জ, 26 মে : বিহার থেকে নদীপথে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার চেষ্টা । বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত ভিলেজ পুলিশ । ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের । অভিযোগ, বিহারের ওই দুষ্কৃতীরা পুলিশের উপর চড়াও হয় গতরাতে । পুলিশ আটকাতে গেলে ধস্তাধস্তিও হয় । পরে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট মারতে থাকে তারা । ঘটনায় আটক করা হয়েছে দু'জনকে । তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে । সাহায্য চাওয়া হয়েছে বিহার পুলিশেরও ।
নগর নদী দিয়ে বিহার-বাংলায় যাতায়াত করেন মানুষজন । কিন্তু কোরোনা সংক্রমণ রুখতে এই পথ আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । লকডাউনের শুরু থেকেই রায়গঞ্জের বাহিন ঘাট এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ । যার জন্য রাতে এই এলাকায় মোতায়েন থাকে কয়েকজন ভিলেজ পুলিশ । পুলিশের টেন্টও রয়েছে নদীর ধারে । প্রতিদিন তিন থেকে চারজন করে ভিলেজ পুলিশকর্মী এলাকায় পাহারা দেন ।
গতকালও এই এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছিলেন তাঁরা । হঠাৎ রাতের দিকে বিহারের কিছু দুষ্কৃতী জোর করে রায়গঞ্জ এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করে । বিষয়টি নজরে আসতেই গ্রামীণ পুলিশের কর্মীরা দ্রুত তাদের বাধা দেয় । এরপরই শুরু হয় বচসা । বচসা থেকে পরবর্তীতে হাতাহাতি ।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের কয়েকজনকে ওই দুষ্কৃতীরা মারধর করে । এরপর স্থানীয় মানুষজন ও ভিলেজ পুলিশ যৌথভাবে ওই দুষ্কৃতীদের তাড়া করলে তারা পালিয়ে যায় এবং বিহার সীমান্তে পৌঁছে সেখান থেকে এলোপাথাড়ি ইট ছুঁড়তে থাকে । এতে ভিলেজ পুলিশের টেন্ট ছিঁড়ে যায় ।
এরপরই রায়গঞ্জ থানা থেকে পুলিশবাহিনী গিয়ে এলাকা ঘিরে ফেলে । বিহারের কাচনা থানার পুলিশও ঘটনাস্থানে পৌঁছায় । পরে দুই দুষ্কৃতীকে আটক করে পুলিশ । তবে ঘটনায় মূল অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে । কী উদ্দেশ্যেই বা তারা একাজ করল, কেনই বা বাংলায় ঢুকতে চাইছিল সেসব জানার চেষ্টা চলছে ।
এবিষয়ে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, "বিহারের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে বাহিন ঘাট এলাকায় হামলা চালানোর অভিযোগ এসেছে । ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।"