পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

কোরোনা : আর্থিক মন্দা মনিহারি দোকানে

কোরোনা আবহে সাধারণ মানুষের রোজগার কমে গিয়েছে অনেকেরই । নুন্যতম খাদ্যসামগ্রী বা ওষুধপত্র ছাড়া অন্য কোনও কিছু ক্রয় ক্ষমতা হারিয়েছে সিংহভাগ মানুষ । ফলে প্রসাধনী সামগ্রী বা মনিহারি দোকান খুললেও সেভাবে তা চলছেনা ।

By

Published : Jun 29, 2020, 5:10 AM IST

Updated : Jun 29, 2020, 6:35 AM IST

Slump in cosmetics business
আর্থিক মন্দা মনিহারি দোকানে

রায়গঞ্জ, 29জুন : লকডাউন শিথিল হওয়ার পরে দোকানের পসরা খুললেও কোরোনার কারণেখদ্দেরের অভাবে ব্যবসা নেই রায়গঞ্জ শহরের কোনও দোকানেই । বিশেষ করে সাজাগোজেরজিনিস বা মনিহারি দোকানে খদ্দের একেবারেই না থাকার কারণে আর্থিক মন্দায় ভুগছেনমনিহারি দ্রব্য বিক্রেতারা । তার উপর দোকানে কোরোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সুরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলায় দোকানের খরচও আগের চাইতে অনেকটাই বেড়েছে । এই ব্যবসা করেব্যাঙ্কের ঋণের টাকা দেবেন না সংসার প্রতিপালন করবেন সেই চিন্তাতেই দিন কাটছেতাঁদের ।

একেতেই কোরোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে তিন মাস লকডাউন থাকায় বন্ধ হয়েপড়েছিল দোকান । লকডাউন শিথিল হওয়ার পরে দোকান খুললেও সাধারণ মানুষ কোনওভাবেনিজেদের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী,ওষুধপত্র কেনাকাটাটুকুই করতে পারছেন । এই কোরোনা আবহে সাধারণমানুষের রোজগার কমে গিয়েছে অনেকেরই । খাদ্যসামগ্রী বা ওষুধপত্র ছাড়া অন্য কোনওকিছু ক্রয় ক্ষমতা হারিয়েছে সিংহভাগ মানুষ । প্রসাধনী দ্রব্য বা ইমিটেশনের অলঙ্কারকেনার মতো সাধ বা সাধ্য কারও নেই । ফলে প্রসাধনী সামগ্রী বা মনিহারি দোকান খুললেওসেভাবে তা চলছে না ।

রায়গঞ্জ শহরের নিশীথ সরনীর মনিহারি দ্রব্য বিক্রেতাসুনন্দ শেখর দাস জানান, "লকডাউনের পরে রীতিমতো স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনেপ্ল্যাস্টিক দিয়ে ঘিরে দোকান খুলেছি ৷ কিন্তু কোরোনার কারণে মানুষের ক্রয় ক্ষমতাঅনেকটাই কমে যাওয়ায় আমাদের মতো পণ্যসামগ্রী বিক্রেতাদের ব্যবসা একেবারেই মার খেয়েগিয়েছে । আগে যেখানে মাসে15থেকে20হাজার টাকা রোজগার হত সেখানে কোরোনা আবহে সেই আয়দাঁড়িয়েছে মাত্র সাত-আট হাজার টাকা, যা দিয়ে আজ সংসার প্রতিপালন করাই দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে।"
আর্থিক মন্দা মনিহারি দোকানে
Last Updated : Jun 29, 2020, 6:35 AM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details