রায়গঞ্জ, 24 মে : দীর্ঘদিন গৃহবন্দী সাধারণ মানুষের বর্তমানে সবথেকে বেশি সময় কাটছে সোশাল মিডিয়ায় ৷ কিন্তু এই কাছের বন্ধু সোশাল মিডিয়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে বিভ্রান্তি ছড়ানোর সবথেকে বড় মাধ্যম ৷ তাই চিকিৎসকরা সোশাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বারংবার ৷ সোশাল মিডিয়ায় বেশিক্ষণ থাকার থেকে সেই সময়টা নিজের শিল্পীসত্ত্বাকে নতুন রূপে চিনে নেওয়ার কাজে ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। চিকিৎসকদের পরামর্শ সঠিক বলে মেনে নিলেও রায়গঞ্জের সংস্কৃতি জগতের একাংশ যে এখনও সোশাল মিডিয়াতেই ডুবে রয়েছেন তা অকপটে স্বীকার করে নিচ্ছে প্রায় সবাই । সোশাল মিডিয়াকে বিভ্রান্তির ছড়ানোর মাধ্যম মানলেও তা থেকে দূরে যাওয়ার উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না কেউই ।
মুঠোফোনের বাড়বাড়ন্ত হতেই বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সোশাল মিডিয়া । ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার প্রতিটি মানুষের পছন্দের শীর্ষে । আর এই প্লাটফর্মগুলি লকডাউনের সময় মূলত দুশ্চিন্তা এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন রায়গঞ্জের চিকিৎসকরা । তাঁদের দাবি সোশাল মিডিয়ায় বর্তমানে গৃহবন্ধী মানুষরা সব থেকে বেশি সময় কাটাচ্ছেন । যা অত্যন্ত চিন্তার কারণ ।
সোশাল মিডিয়াতে নানান মাধ্যমে ফেক নিউজ ছড়ায় । যে সকল ভুয়ো খবর মানুষের মনে চরম অশান্তির সৃষ্টি করে। বাড়ে অনিদ্রা সহ একাধিক রোগভোগ । তাছাড়াও সোশাল মিডিয়ার খবর দেখে অনেকেই তার সত্যতা বিচার করার জন্য অপর ব্যক্তির সাহায্য নেয়। যার ফলে সামাজিক বিভ্রান্তির জায়গা আরও তৈরি হয় । চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এই সময়ে বিভিন্ন মানুষ তাদের ভুলে যাওয়া শিল্পীসত্তাকে জাগিয়ে তুলতে পারেন নতুন রূপে । যার ফলে আখেরে লাভ হবে সমাজেরই । রায়গঞ্জের সাংস্কৃতিক জগতের একাংশ এই তথ্যকে মেনে নিয়েছেন । তাদের দাবি ঘরের কাজ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সারার পরেও যে সময় থাকে তার বেশিরভাগটাই সোশাল মিডিয়াতে কেটে যায়। তবে তার ফলে কিছুটা বিভ্রান্তি ছড়ায় বলেও মেনে নিয়েছেন তাঁরা।