রায়গঞ্জ, 22 এপ্রিল: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যু নিয়ে ঈদের দিনও তপ্ত রাজ্য রাজনীতি ৷ যার আঁচ গিয়ে পড়েছে রাজধানী দিল্লিতেও ৷ নাবালিকার মৃত্যু এবং পরবর্তী সময়ে তার দেহ নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের পাশাপাশি শনিবার মুখ্যমন্ত্রীকেও কটাক্ষ করলেন বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী ৷ তবে পালটা এদিন জেলা পুলিশ দাবি করেছে, বিষক্রিয়ার জেরেই ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে ৷ এমনকী মৃতার দেহে বড় কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই বলেও জানিয়েছে পুলিশ ৷
এদিন সকালে মৃত নাবালিকার বাড়িতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ পরে রায়গঞ্জ পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে ধরনাতেও বসেন তিনি ৷ এদিন মৃতার পরিবারের দাবিকে মান্যতা দিয়ে গোটা ঘটনার সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন সুকান্ত ৷ তাঁর সঙ্গেই এদিন ছিলেন রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীও ৷ এদিন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে সাংসদ জানান, রাজ্যে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী ৷ তারপরও মৃত কিশোরীর দেহ যেভাবে চ্যাংদোলা করে টেনে-হিঁচড়ে পুলিশ নিয়ে যাচ্ছে তা ভাবাই যায় না। শুধু রাজ্যের মানুষই নয়, সারা দেশের মানুষ রাজ্য পুলিশের এই ভূমিকা, এই ছবি দেখে শিউড়ে উঠছে বলেও জানান রায়গঞ্জের সাংসদ। সেইসঙ্গে পুলিশি তদন্তের প্রতি অনাস্থাও প্রকাশ করেন তিনি ৷
যদিও বিজেপি-সহ বিরোধীদের দাবিকে এদিন কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন রায়গঞ্জের জেলা পুলিশ সুপার ৷ তাঁর দাবি, মৃতার পরিবারের লোকের উপস্থিতিতেই হয়েছে ময়নাতদন্ত ৷ আর সেই রিপোর্টে স্পষ্ট বিষক্রিয়ার জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালিকার ৷ এদিন পুলিশ সুপার সানা আখতার বলেন, "ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, মেয়েটির মৃত্যু বিষক্রিয়ার কারণেই হয়েছে। দেহে বড় কোনও আঘাতের চিহ্নও নেই। যৌন নির্যাতনের কোনও লক্ষ্মণ আছে কি না, তা স্পষ্ট করে চিকিৎসকদের কাছে ফের জানাতে চাওয়া হয়েছে ৷" পাশাপাশি পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, দুই অভিযুক্তকেই 14 দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত ৷