রায়গঞ্জ, 16 নভেম্বর: একটি কদমগাছের নিচে পলিথিন দিয়ে ঘেরা ঝুপড়ির মধ্যে বাস করেন রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ দাসপাড়ার বাসিন্দা বৃদ্ধ অতনু দাস ওরফে মঙ্গল ৷ বছর 6 আগে এক পথ দুর্ঘটনায় কোমরে আঘাত পাওয়ার পর কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন তিনি ৷ চলাফেরার শক্তিও নেই ৷ এক ছেলে আছে ৷ তিনি রং মিস্ত্রির কাজ করেন ও পরিবার নিয়ে আলাদা থাকেন ৷ আর বৃদ্ধ অতনু দাসের দিনযাপন হয় প্রতিবেশীদের দয়াতেই ৷ তাঁর এই অসহায় অবস্থার কথা শুনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী ৷ বৃদ্ধের পলিথিনে ঘেরা ঝুপড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী এবং ত্রিপল দিয়ে সাহায্য করেন বিধায়ক ৷
তবে, অতনু দাসের নিজের বাড়ি রয়েছে ৷ কিন্তু, সেই বাড়ি প্রায় ভগ্নদশা ৷ সেটিকে মেরামত করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন বিধায়ক ৷ প্রসঙ্গত, অতনু দাস ওরফে মঙ্গলবাবু সবল অবস্থায় কুলো তৈরি করতেন এবং সেই কুলো ভ্যানে করে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতেন ৷ একসময় স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে সেই কুলো বিক্রি করেই সংসার চালিয়েছেন ৷ স্ত্রী বহু বছর আগে মারা গিয়েছেন ৷ কিন্তু, গত 6 বছর আগে এক পথ দুর্ঘটনায় চলাফেরার শক্তি হারান ৷ তখন থেকেই ছেলের আশ্রয়ে থাকেন ৷ কিন্তু, পেশায় রং মিস্ত্রি ছেলেও কোনওমতে তাঁর সংসার চালান ৷ তিনি মাঝে মধ্যে বাবাকে সাহায্য করেন বটে ৷ তবে, তা না চলার মতোই ৷ প্রতিবেশীদের কম বেশি সাহায্যে দু’বেলা কোনওরকমে খাবার জোটে তাঁর ৷