Raiganj Kanchanpalli: হাতে দুর্গাপ্রতিমার বরাত, বিশ্বকর্মা গড়তে না-পেরে মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের

মাত্র 12-13 দিনের ব্যবধান । বিশ্বকর্মা পুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব, দুর্গাপুজো । ফলে প্রতিমা তৈরি করতে হিমসিম খাচ্ছে কাঞ্চনপল্লি । ফলে অন্যান্যবারের তুলনায় এবছরে আয়ের অনেকটাই ঘাটতি হবে বলে দাবি মৃৎশিল্পীদের (Raiganj Kanchanpalli) ।

রায়গঞ্জ, 19 জুলাই:গুটি কয়েক বিশ্বকর্মা বানিয়েই দুর্গাপ্রতিমা গড়তে ব্যস্ত শিল্পীরা । মাত্র 12-13 দিনের ব্যবধান । বিশ্বকর্মা পুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো । এই পরিস্থিতিতে পরপর দু'টি পুজো ঘিরে কার্যত দিশেহারা রায়গঞ্জের মৃৎশিল্পীরা । সময়মতো দুর্গাপ্রতিমা সরবরাহ করার লক্ষ্যে এবারে কুমোরটুলিতে হাতে গোনা কয়েকটি বিশ্বকর্মা তৈরি করা হয়েছে । ফলে অন্যান্যবারের তুলনায় এবছরে আয়ের খাতে অনেকটাই ঘাটতি হবে বলে দাবি মৃৎশিল্পীদের । পাশাপাশি বাজারে বিশ্বকর্মা প্রতিমারও যে আকাল দেখা দেবে, তা বলাই বাহুল্য (Raiganj Kanchanpalli artisans are facing a tough situation) ।

তিথি অনুযায়ী, এবারে বিশ্বকর্মা পুজোর 12 দিন পরই শুরু হচ্ছে দুর্গোৎসব । যার জেরে প্রতিমা তৈরি করতে গিয়ে বেগ পেতে হচ্ছে মৃৎশিল্পী ও কারিগরদের । রায়গঞ্জ শহরের কুমোরটুলি হিসেবে পরিচিত কাঞ্চনপল্লী এলাকা । কেননা এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষ মৃৎশিল্পের সঙ্গে যুক্ত । সারাবছর প্রতিমা বানিয়েই জীবিকা নির্বাহ করেন তাঁরা । মৃৎশিল্পী জয়ন্ত পাল, বিভূতি পালরা জানান, প্রতিবছর এই সময় বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন তাঁরা । একেকটা শিল্পালয়ে প্রায় 300-400 প্রতিমা তৈরি হয় । তার কিছুদিন পর থেকে শুরু হয় দুর্গা প্রতিমা গড়ার প্রক্রিয়া । যার ফলে আর্থিকভাবে অনেকটাই লাভবান হন মৃৎশিল্পীরা ।

গত 2 বছর করোনা পরিস্থিতির জেরে প্রতিমার তেমন বরাত মেলেনি । ফলে আয়ে ভাটা পড়েছিল । তাই এই বছরের দিকে তাকিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিলেন তাঁরা । কিন্তু শেষমেশ দুই পুজোর সময়সীমার ব্যবধান একেবারেই কম থাকায় বিশ্বকর্মা প্রতিমা সেই পরিমানে গড়া সম্ভব নয় । ইতিমধ্যেই দুর্গা প্রতিমার কাঠামোয় মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়েছে । ফলে সেদিকেই কাজে ব্যস্ত শিল্পী ও কারিগরেরা । এখন আগের অনুপাতে বিশ্বকর্মা বানাতে গেলে দুর্গা প্রতিমা সময়মতো সরবরাহ করা যাবে না বলেই মত মৃৎশিল্পীদের ।

বর্তমানে শ্রমিকদের পারিশ্রমিকও বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই । তাই অধিক পরিমানে কারিগর বা শ্রমিক নিয়োগ করলে লাভের ধন পিঁপড়ে খাওয়ার মত অবস্থা তৈরি হবে । তাই প্রতিবারের তুলনায় এবারে কুমোরটুলিতে বিশ্বকর্মার সংখ্যা নগন্যই বলা চলে । গত 2 বছর করোনার পর এবারেও শেষমেশ আয়ের খাতে ঘাটতি থেকেই যাওয়ায় মুখের হাসি ম্লান হয়েছে কুমোরটুলিতে ।