রায়গঞ্জ, 14 অক্টোবর:তারাপীঠের মহাসাধক বামাক্ষ্যাপার বংশধরেরা দীর্ঘদিন ধরে সেবাইতের কাজ করে আসছেন রায়গঞ্জ আদি করুণাময়ী কালী মন্দিরে (Adi Karunamoyee Kalibari) । দীপাবলির রাতে এই ঐতিহ্যবাহী বন্দর কালীমন্দিরে শুধু উত্তর দিনাজপুর জেলাই নয়, ভিনরাজ্য থেকেও হাজার হাজার পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটে । অসম থেকে পঞ্জাব, বিহার থেকে উত্তরপ্রদেশ সমস্ত ভিনরাজ্য-সহ বিদেশ থেকেও দীপাবলীর রাতে বন্দর আদি করুণাময়ী কালীবাড়িতে কালীমাতার পুজো দিতে আসেন ভক্তরা । হাজার হাজার ভক্তের সমাগমে পুণ্যার্থী হয়ে ওঠে রায়গঞ্জ শহর ।
কথিত আছে পাঁচশো বছর আগে পঞ্জাব প্রদেশের এক সাধু হেঁটে এসে উপস্থিত হন রায়গঞ্জের কুলিক নদীর বন্দর ঘাটে । ঘাটের কাছেই একটি গাছের তলায় পঞ্চমুন্ডির আসনে বসে সিদ্ধিলাভ করেন ৷ সেই থেকে শুরু হয় এখানে কালীর আরাধনা । বেদীতেই পুজোর প্রচলন হয়েছিল । 1216 বঙ্গাব্দে দিনাজপুরের রাজা স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই স্থানে নির্মাণ করেন কালী মন্দির । এরপর তারাপীঠের মহাসাধক বামাক্ষ্যাপার বংশধর জানকীনাথ চট্টোপাধ্যায় বারাণসী থেকে কষ্ঠীপাথরের কালীর মূর্তি এনে বসান পঞ্চমুন্ডির আসনে ৷ সেটাও আজ থেকে 212 বছর আগের কথা । সেই থেকেই ওই একই মূর্তিতে দক্ষিণা কালীমাতার পুজো হয়ে আসছে বন্দর আদি করুণাময়ী কালীবাড়িতে ।