রায়গঞ্জ, 28 ডিসেম্বর : বন দপ্তরের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হেমতাবাদ বাহারাইল ফরেস্টে চলল বনভোজন। হেমতাবাদ বিডিও জানিয়েছেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বাহারাইলে বনভোজন হয়েছে। বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। আগামীদিনে সেখানে যাতে আর বনভোজন না করা যায় তার ব্যবস্থা করবেন। বনভোজন করতে আসা কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা নান্টু বর্মণ জানান, কোরোনা আবহের কথা মাথায় রেখে সামজিক দূরত্ব বজায় রেখেই বনভোজন করা হয়েছে।
কোরোনা আবহে উত্তর দিনাজপুর জেলার সমস্ত ফরেস্টে বনভোজন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রায়গঞ্জ কুলিক পক্ষীনিবাস, শিয়ালমণি এবং হেমতাবাদের বাহারাইল জঙ্গলে পোস্টার দিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে বনভোজন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জঙ্গলের প্রবেশদ্বার বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে চরম সমস্যায় পড়েন রায়গঞ্জ ব্লকের শিয়ালমণি এলাকার বাসিন্দারা। বড় দিন থেকে শুরু করে নতুন বছরে শিয়ালমণি এলাকার দুঃস্থ এবং অসহায় মানুষ এই পিকনিক পার্টির উপর নির্ভশীল। এই সময় বাড়ির কাছে কিছু অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন হয়। এবার সেই উপার্জন বন্ধ হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন। বন দপ্তরের সেই সমস্ত বিধিনিষেধকে উপেক্ষা করে রবিবার ছুটির দিনে হেমতাবাদ বাহারাইল জঙ্গলে রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ থেকে অসংখ্য পর্যটক বনভোজন করতে আসেন। বাঁশের ব্যারিকেড টপকে জঙ্গলে পর্যটকরা বনভোজন করেন।