রায়গঞ্জ, 17 এপ্রিল: আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ডাকা 12 ঘণ্টার বনধে চরম হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ ৷ অভিযোগ আদিবাসী সংগঠনের তরফে প্রায় 7 ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়েছে ৷ কিন্তু, পুলিশ প্রশাসন কার্যত নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ ৷ জরুরি কাজ বেরিয়ে চরম হয়রানির শিকার আমজনতা ৷ গরমের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িতে বসে থাকতে হচ্ছে লোকজনকে ৷ বনধের শেষ না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় সড়কে অবরোধ তুলবে না বলে জানিয়েছে আদিবাসি সেঙ্গেল অভিযান নেতৃত্ব ৷
উল্লেখ্য, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের তিন আদিবাসি মহিলাকে দণ্ডি কাটিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানোর অভিযোগ ওঠে স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ৷ আদিবাসী মহিলাদের উপর অত্যাচারের অভিযোগে সমালোচনার মুখে পড়ে শাসকদল ৷ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের ওই নেত্রীর-সহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করানো হয় ৷ কিন্তু, তা সত্ত্বেও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেনি ৷ এমনকি আদিবাসীদের জমি জোর করে দখল করার অভিযোগ উঠেছে ৷
এমনই পাঁচ দফা ইস্যুতে 12 ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান ৷ সকাল 6টা থেকে বনধ সমর্থকরা রায়গঞ্জের শিকিগুড়ি মোড়, নেতাজি মোড়-সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রেখেছে ৷ আদিবাসীদের ঘোষিত কর্মসূচি থাকায় অপ্রিতিকর ঘটনা রুখতে রায়গঞ্জ শহর এবং জাতীয় সড়কে প্রচুর পুলিশ মোয়ায়ন করা হয়েছে ৷ কিন্তু, পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে অবরোধ তোলার জন্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে ৷