রায়গঞ্জ, 29 অক্টোবর: পুজোর সময় একাধিক অপরাধের জন্য গ্রেপ্তারির সংখ্যাটা গত বছরের তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেল । রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পাঁচটি থানা এলাকায় পুজোর সময় গ্রেপ্তার হয়েছে 81 জন । যা গত বছরে ছিল মাত্র 67 জন । পুলিশের দাবি, এই পরিস্থিতিতে যাতে মানুষ কোনও ধরনের সমস্যায় না পড়ে তা নিশ্চিত করতে প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট করা হয়েছে অনেক বেশি ।
পুজোয় গ্রেপ্তারির সংখ্যা বৃদ্ধি পেল রায়গঞ্জে
পুজোর সময় যাতে অপরাধ না বাড়ে তার জন্য রায়গঞ্জ পুলিশ-প্রশাসন বাড়তি উদ্যোগ নিয়েছিল । আগেই একাধিক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় প্রতিবছর পুজোর সময় মদ্যপ অবস্থায় গন্ডগোল, ইভটিজ়িং, চুরি ও ছিনতাইয়ের একাধিক ঘটনা ঘটে। সেইমতো পুলিশ ও প্রশাসন সতর্ক থাকে । ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের দাবি, অনেক সময়ে তারা সেই কাজে সফলতা পান না। তবে পুলিশ পুজোর সময় নানাবিধ ব্যবস্থা লাগু করে সেই অবস্থা সামলানোর চেষ্টা করে। এবছরও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অন্তর্গত রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ইটাহার, করণদিঘি এবং হেমতাবাদ থানা এলাকায় প্রথম দিন থেকেই নজরদারি বাড়িয়েছিল তারা। বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয় ।
এই বিষয়ে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, “আমরা যথেষ্ট সজাগ ছিলাম এবছর । পুজোয় যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা না ছড়ায় তার জন্য বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছি। পাশাপাশি রাস্তায় গন্ডগোলের চেষ্টা করা দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবছরের পুজোয় আমরা বাড়তি উদ্যোগী ছিলাম বলেই অপরাধ প্রবণতা কমেছে। যদিও গ্রেপ্তারি সংখ্যা বেড়েছে।”