রায়গঞ্জ, 2 এপ্রিল: লকডাউনের জেরে 14 এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সব দোকানপাট। ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যেই জামা-কাপড়ের দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, শতাব্দীতে সম্ভবত এই প্রথমবার বাংলা নববর্ষের দিনে বাঙালির গায়ে নতুন জামা-কাপড় উঠবে না । এই পরিস্থিতিতে রায়গঞ্জের বাসিন্দা ও সেখানকার ব্যবসায়ীরা সরকারের সমর্থনে দাঁড়িয়ে লকডাউনের পক্ষে মত দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, কোরোনা আতঙ্ক মুক্ত হলে আগামী বছর আরও ভালোভাবে এই দিনটি পালন করা যাবে । তাই এবছরের মতো নববর্ষ পালন না করাই ভালো ।
প্রতিবছর 15 এপ্রিল বাঙালি নতুন বছর উদযাপন করেন ।নতুন জামা-কাপড় কেনা থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া এবং নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ দিনটি পালন করা হয়। মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই যথারীতি বিভিন্ন বাজারে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। চৈত্র সেলের দোকান রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় লক্ষ্য করা যায়। এই সমস্ত বিষয়টি বাঙালির কাছে একটা নস্টালজিয়া। বছরের পর বছর সেই দিনটি পালন করার জন্য নানান পরিকল্পনা বাঙালি পরিবারগুলো আগে থেকেই ঠিক করে ফেলে।
তবে এবছর চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। গত মাসের 22 তারিখ জনতা কারফিউ ঘোষণা করার পর 25 মার্চ দেশজুড়ে লকডাউনের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অত্যাবশ্যক খাদ্য সামগ্রী, ওষুধের দোকান এবং কয়েকটি প্রয়োজনীয় দোকান খোলা থাকলেও জামাকাপড় সহ সমস্ত ধরনের দোকান বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। সে কারণেই এ বছর বাঙালির নববর্ষ অন্যভাবে কাটবে।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জের বাসিন্দা সুমি কুণ্ডু বলেন, "এবছর আমরা সরকারের পক্ষে থেকেই লকডাউন সমর্থন করে নববর্ষ পালন করব। নতুন জামা কাপড় না পরতে পারার দুঃখ থাকলেও কোরোনা ভাইরাসের আতঙ্ক থেকে নিজেদের সুস্থ স্বাভাবিক রাখার জন্য আমরা এ দিনটিকে না উদযাপন করেই কাটাব। "