রায়গঞ্জ, 21 এপ্রিল:"যে আমার মেয়েকে কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তার ফাঁসি চাই ৷" এই আকুতিই শোনা গেল মৃত যুবতীর মায়ের গলায়। কালিয়াগঞ্জ থানা এলাকার যুবতীকে খুনে একের পর এক বিষ্ফোরক অভিযোগ করেছে নির্যাতিতার পরিবার ৷ তার মাঝেই এবার অভিযুক্ত জাভেদ আহমেদের ফাঁসি দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন নির্যাতিতার মা ৷ শুক্রবার যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখা পড়ে পুলিশ ৷ পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে এলাকা ঘিরে দেহ উদ্ধার করে ৷ রায়গঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠিয়েছে পুলিশ ৷ ঘটনায় দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ পাশাপাশি ফের এই ঘটনার সরেজমিনে তদন্তে রাজ্যে আসছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন ৷
কালিয়াগঞ্জ থানা এলাকার ওই যুবতীর খোঁজ বৃহস্পতিবার থেকে মিলছিল না বলে অভিযোগ ৷ পরিবারের দাবি, একাধিক জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরও তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি ৷ এমনকী শেষ পর্যন্ত মালদায় তাঁদের আত্মীয়ের বাড়িতেও খোঁজ করা হয়েছিল বলে দাবি মৃতার পরিবারের ৷ কিন্তু মেয়েকে কোথাও পাওয়া যায়নি বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। অবশেষে এদিন স্থানীয় একটি পুকুরে ওই যুবতীর দেহ ভেসে থাকতে দেখা যায় ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ ৷ যদিও গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে প্রথমে পুলিশ এলাকা ছেড়ে চলে গেলেও পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার করে ৷
অন্যদিকে, মালগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার ৷ মৃতার মা অভিযোগ করে বলেন, "আমাকে ফোন করে বিষয়টি সমাধান করে নিতে বলেছেন পঞ্চায়েত প্রধান ৷" কিন্তু নির্যাতিতার মায়ের সাফ দাবি, কোনও সমাধানে তাঁরা যাবেন না ৷ এরপরই মেয়ের খুনির উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানানোর পাশাপাশি তার ফাঁসি চেয়েছেন মৃত ওই যুবতীর মা ৷ উল্লেখ্য, কালিয়াগঞ্জ থানার মালগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা মেয়েটির দেহ পাশের গ্রাম পালইবাড়ির একটি পুকুরে দেখতে পায় স্থানীয় এক ব্যাক্তি। শুক্রবার সকালে যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার হলে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।