রায়গঞ্জ, 5 এপ্রিল : দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরার পর থাকেননি হোম কোয়ারান্টাইনে । বদলে রাস্তায় বেরিয়ে মাস্ক বিতরণ করেছেন । এমন অভিযোগ পেয়ে সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরির বাড়িতে নোটিস লাগাতে গেলে ব্যর্থ হন প্রশাসনিক আধিকারিকরা । ব্যর্থ হন স্বাস্থ্যকর্মীরাও । গতরাতে এনিয়ে চলে বিস্তর টানাপোড়েন । গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক হেনস্থার অভিযোগ তোলেন তিনি । তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত অভিযোগ তোলায় নাম না করে তাঁকে 'মাতব্বর' বলেও আক্রমণ করেন । এবার এর পালটা দেবশ্রী চৌধুরিকে সংযত হয়ে কথা বলার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি ।
23 মার্চ দিল্লির সংসদ ভবন থেকে অন্যান্য মন্ত্রী-সাংসদদের সঙ্গে প্রথমে কলকাতায় ফেরেন রায়গঞ্জের সাংসদ তথা নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরি । পরে রায়গঞ্জের চণ্ডীতলার বাড়িতে ফেরেন । নিয়মমতো ভিন রাজ্য থেকে এলে 14 দিনের কোয়ারানটাইনে থাকার কথা । কিন্তু তিনি সেসব না মেনেই 2 এপ্রিল মাস্ক বিতরণ করেন । এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জেলা শাসকের দ্বারস্থ হন রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত । অভিযোগ জানান রায়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যানও ।
এরপর গতকাল সকালে দেবশ্রী চৌধুরির বাড়িতে কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হাজির হন । তাঁর বাড়িতে স্বাস্থ্যকর্মীরা হোম কোয়ারান্টাইনের নোটিস লাগাতে যান ও মন্ত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে বলেন । কথামতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালেও বাড়িতে হোম কোয়ারান্টাইনের নোটিস লাগাতে দেননি তিনি । পরে সন্ধেয় ফের তাঁর বাড়িতে হোম কোয়ারান্টাইনের নোটিস লাগাতে পৌঁছান রায়গঞ্জ ব্লকের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সন্দীপ বাগ এবং রায়গঞ্জ থানার IC সূরয থাপা । আবারও নোটিস লাগাতে বাধা দেন তিনি । এক কথা, দু'কথায় বাধে বচসা ।