রায়গঞ্জ, ৩ এপ্রিল: দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খুবই হতাশাজনক । রবিবার 9 মিনিট ঘর অন্ধকার করে মোমবাতি জ্বালানোর যে আবেদন প্রধানমন্ত্রী করেছেন সেই প্রসঙ্গে একথা বললেন CPI-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়ের । তিনি বলেন, কোরোনা কতটা মোকাবিলা করা গেল, প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেটাই জানতে চায় দেশবাসী । নিচুতলার কর্মীরা শাঁখ, ঘণ্টা বাজানো বা ঘর অন্ধকার করার কথা বললে মানায় । কিন্তু 130 কোটির দেশের প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্য হাস্যকর ।
5 এপ্রিল রাত নটায় দেশের মানুষকে 9 মিনিট ঘর অন্ধকার করে মোমবাতি, টর্চ বা প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখার আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তাঁর এই আবেদনের অনেকেই সমালোচনা করেছে । তাঁর এই আবেদনকে হাস্যকর ও হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন শ্রীকুমারবাবু । বলেন, "যাঁরা এই কোরোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লড়াই করছেন সেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মান ও উৎসাহ দিতে হাততালি, কাঁসর-ঘণ্টা-থালা বাজানোর কথা বলেছিলেন । অথচ দেখা যাচ্ছে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক, নার্সদের মাস্ক ও ইউনিফর্ম নেই । বিশ্বের অন্য দেশগুলো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করছে । সেই পথ অনুসরণ না করে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী 9 মিনিট নিজেদের ঘর অন্ধকার করে রাখার কথা বলছেন ।"
ঘর অন্ধকার করে মোমবাতি জ্বালানোর আবেদন হাস্যকর: শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়
5 এপ্রিল রাত নটায় 9 মিনিট ঘর অন্ধকার করে মোমবাতি, টর্চ বা প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখার আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তাঁর এই আবেদনকে হাস্যকর ও হতাশাজনক বলে মন্তব্য করলেন CPI নেতা শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায় ।
শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়
কোরোনা মোকাবিলার সঙ্গে ঘর অন্ধকার করে রাখার কোনও যুক্তিই খুঁজে পাচ্ছেন না CPI নেতা শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায় । তিনি এও বলেন, "কোনও নিচুতলার কর্মীর মুখে এই ধরনের মন্তব্য মানায়, ভারতের মতো বিশাল এক দেশের প্রধানমন্ত্রীর এই আবেদন যথেষ্ট হাস্যকর ও হতাশাজনক ।"