রায়গঞ্জ, 18 সেপ্টেম্বর : আবারও মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের ৷ এবারের ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের ৷ লকডাউনে বাড়ি ফিরে এলেও কোনও কাজ পাননি তিনি ৷ যার কারণে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন ৷ পরিবারের সদস্যদের দাবি এই অবসাদ থেকেই আত্মঘাতী হন ৷
অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যা পরিযায়ী শ্রমিকের - Migrant labour committed suicide
লকডাউনে মুম্বইয়ে কাজ হারিয়ে ফিরে এসেছিলেন বাড়ি ৷ কিন্তু এরপরও পিছু ছাড়েনি অভাব ৷ পাননি সরকারের বরাদ্দ 100 দিনের কাজও ৷ অভাবের জেরে আত্মহত্যা রায়গঞ্জের পরিযায়ী শ্রমিকের ৷
মৃতের নাম মজরুল শেখ (31) ৷ বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারজল গ্রামের বাসিন্দা মজরুল শেখ মুম্বইয়ে শ্রমিকের কাজ করতেন । তাঁর ছোটো দু'টি সন্তান ও সন্তানসম্ভবা স্ত্রী রয়েছে ৷ লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায় মজরুলের কাজ । জমানো টাকা থেকে সে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য স্পেশাল ট্রেনে করে রায়গঞ্জে ফিরে আসেন ৷ এরপর পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য গ্রামেই কাজের ব্যবস্থার কথা রাজ্য সরকার ঘোষণা করলেও তিনি কোনও কাজ পাননি বলেই জানা গেছে । ধার করে কিছুদিন সংসার চালালেও দিনে দিনে বাড়তে থাকে সংসারে অভাব । যার কারণে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন মজরুল । শুক্রবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন । মূলত অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন মজরুল এমনটাই ধারণা তাঁর আত্মীয় পরিজনদের । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ।
কিছু দিন আগে বাদল অধিবেশনে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে সরব হয়েছিল বিরোধীরা ৷ তবে সরকারের বক্তব্য ছিল তাদের কাছে কতজন শ্রমিক মারা গেছেন তার কোনও পরিসংখ্যান নেই ৷ এরপরই নিন্দার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে ৷ প্রশ্ন ওঠে লকডাউনের পর থেকে হয় দুর্ঘটনা নয়ত আত্মহত্যা করে মারা গেছেন একের পর এক পরিযায়ী ৷ এরপরও সরকারের কাছে কীভাবে পরিসংখ্যান থাকে না ৷ এই বিতর্কের মধ্যেই রায়গঞ্জের মজরুলের আত্মহত্যা আরও একবার আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল দেশে পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা ৷