রায়গঞ্জ, 6 সেপ্টেম্বর: পদ্মফুল ছাড়া কোনও পুজো ভাবা যায় না । বিশেষ করে দেবী দুর্গার আরাধনায় অবশ্যই প্রয়োজন পদ্মফুল (Lotus Farmer Problem)। সন্ধিপুজোতে 108টি পদ্মফুলেই পূজিত হন দুর্গতিনাশিনী । তবে এই পদ্মফুলের বাজার এ বার একেবারেই মন্দা ৷ চরম দুর্ভোগে পদ্মফুল চাষীরা ৷
এ বছর উত্তর দিনাজপুরে তেমনভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় জলাশয়গুলোতে জল প্রায় নেই । তাই জলের অভাবে এ বার পদ্ম চাষে মার খেয়েছেন চাষীরা । এ বছর করোনার প্রকোপ কমলেও বৃষ্টি না হওয়ায় পদ্মফুলের চাষই হয়নি উত্তর দিনাজপুর জেলায় শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুর গ্রামে । ফলে এ বার জলাশয়ে পদ্মফুলের দেখা মিলছে না । উৎসবের মরশুমে কীভাবে পেট চলবে, এই আশঙ্কাতেই দিন গুনছেন রায়গঞ্জ ব্লকের পদ্মচাষীরা ।
শরতের আগমনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গে জলাশয়গুলিতে ভরে ওঠে পদ্মের কুঁড়ি । প্রতি বছরের মতো এ বছরেও চাষীরা আশা করেছিলেন, জলাশয়গুলিতে প্রচুর পদ্ম ফুটবে । কিন্তু এ বার তাদের হতাশ করেছে আবহাওয়া । পুজোর আগে থেকেই দুর্গাপুজো কমিটির সদস্যরা গ্রামে এসে ফুলের জন্য অগ্রিম অর্থ দিয়ে যান চাষীদের । তবে এ বার জেলায় পদ্মের দেখা না মেলায় মন খারাপ চাষীদের ।
আরও পড়ুন:দুর্গা পুজোর স্বীকৃতি উদযাপনে থাকবে ইউনেস্কো, পর্যটনের বিস্তৃতিতে নজর মমতার
এক ফুলচাষী (Lotus Farmers) বললেন, "পুজোর আগে পদ্মফুলের বিক্রি করে বাড়তি কিছু পয়সা হাতে আসে । সেই পয়সা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের নতুন জামাকাপড় কেনা হয় । কিন্তু এ বার সেভাবে বর্ষা না হওয়ার কারণে জলাশয়গুলিতে পদ্মের কুঁড়ির দেখাও মিলছে না । ফলে চরম সংকটে উত্তর দিনাজপুর জেলার পদ্মচাষীরা ।"