রায়গঞ্জ, 18 মার্চ : কোরোনা আতঙ্কের জেরে রায়গঞ্জের বিখ্যাত কুলিক পাখিরালয় আপাতত সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল বনদপ্তর । মঙ্গলবার থেকেই এই পাখিরালয় বন্ধ করেছে রায়গঞ্জ ডিভিশনের বনদপ্তর । সাধারণত বিভিন্ন জায়গা থেকে এই পাখিরালয়ে বেড়াতে আসেন সাধারণ মানুষ । তাঁদের মধ্যে যাতে কোনওভাবেই কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে , তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনদপ্তর । সরকারের আগামী নির্দেশ আসা পর্যন্ত এই পাখিরালয়ের গেট সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।
কোরোনার আতঙ্কে বন্ধ রায়গঞ্জের কুলিক পাখিরালয়
এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ পাখিরালয় রয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরে । সাধারণত বিভিন্ন জায়গা থেকে কুলিকে সময় কাটাতে আসেন সাধারণ মানুষ । তাঁদের মধ্যে যাতে কোনওভাবেই কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে , তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনদপ্তর ।
এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ পাখিরালয় রয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরে । 131 হেক্টর বনাঞ্চল নিয়ে এই পাখিরালয় ৷ স্বাভাবিক নিয়মে , মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এখানে আসে প্রজনন এবং বংশবিস্তারের জন্য । শীতের সময় অন্যত্র চলে যায় পাখিরা । শামুকখোল , নাইট হিরন ,ইগ্রেট প্রজাতির পাখিই মূলত এখানকার বাসিন্দা । 1970 সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এই এলাকায় উন্নতি শুরু হয় । কুলিক নদীর পাশে গড়ে ওঠার কারণেই এর নাম কুলিক পাখিরালয় । সব মিলিয়ে প্রায় দেড়শো প্রজাতির পাখির আবাসস্থল এই পাখিরালয় । নানা প্রজাতির পাখি দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে এই পাখিরালয়ে বহু পর্যটক আসেন । এখানে পর্যটকদের থাকার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন বিভাগের অতিথিশালা রয়েছে । এর পাশাপাশি কুলিক পাখিরালয়ের ভিতরে রয়েছে সরকারি বাংলো । আগের থেকে বুকিং করা হলে সেখানেও থাকতে পারে সাধারণ মানুষ । যদিও এমন দর্শনীয় স্থান থেকে বর্তমানে বঞ্চিত থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে ৷ বেশিরভাগ দিনই এই কুলিক পাখিরালয়ে প্রচুর মানুষ ভিড় করে । সপ্তাহান্তে এই ভিড় আরও বেড়ে চলে । তবে বর্তমানে কোরোনা ভাইরাসের জেরে জমায়েত এড়াতে এই পাখিরালয়ের গেট পুরোপুরি ভাবে বন্ধ করেছে বনদপ্তর ।
এই বিষয়ে রায়গঞ্জ ডিভিশনের DFO সোমনাথ সরকার বলেন ," সরকারি নির্দেশিকা মেনেই কোরোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে সাধারণ মানুষকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্যই আমরা আপাতত কুলিক পাখিরালয়ের গেট সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ করেছি । আগামী নির্দেশিকা আসা পর্যন্ত আমরা এই গেট খুলছি না । কোনওভাবেই কোনও ভাইরাসের সংক্রমণে যাতে কেউ অসুস্থ না হয়ে পড়ে তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।"