পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Panic in kaliaganj: এখনও ঘরছাড়া কালিয়াগঞ্জের মৃত যুবকের পরিবার, দিন কাটছে আতঙ্কে

মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যুর পর থেকেই ঘর ছাড়া তাঁর পরিবারের সদস্যরা ৷ আতঙ্কে ঘর ছাড়া গ্রামের আরও অনেকে ৷ এমনই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে ৷

Etv Bharat
Etv Bharat

By

Published : May 6, 2023, 10:36 AM IST

রায়গঞ্জ, 6 মে: যিনি সন্তানহারা হয়েছেন তাঁদেরই ভয়ে আতঙ্কে ঘর ছাড়া থাকতে হচ্ছে । এমনই ঘটনার সম্মুখীন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ ব্লকের চাঁদগাঁর বাসিন্দারা ৷ শুক্রবার আদিবাসী কমিশন মৃত মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবারের সদস্যদের গ্রামে নিয়ে আসে ৷ তবে এলেও জেলা পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা গ্রামে উপস্থিত না থাকায় নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের আবারও ফিরে যেতে হয়েছে ৷

ফিরে দেখা :

গত 21 এপ্রিল চাঁদগাঁ গ্রামে ঘটনার সূত্রপাত ৷ এদিনই কালিয়াগঞ্জ থানার গাংগুয়া গ্রামে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল । সেই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয় । মৃতের পরিবার মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখায় । পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ বাঁধে । এই ঘটনার প্রতিবাদে গত 25 এপ্রিল রাজবংশী এবং আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে কালিয়াগঞ্জ থানায় স্মারকলিপি দিতে যায় ৷ সেখানে জনতা ও পুলিশের খন্ডযুদ্ধ বাঁধে । কালিয়াগঞ্জ থানায় বেশ কিছু এলাকায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া ও কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের মারধরের অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে । এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্য বিষ্ণু বর্মনের বিরুদ্ধে ।

সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই 27 এপ্রিল কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ চাঁদগাঁ গ্রামে যায় বিষ্ণু বর্মনকে গ্রেফতার করতে । বিষ্ণুকে না পেয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের থানায় তুলে আনতে গেলে গ্রামবাসীরা বাধা দেয় । পরিস্থিতি বেগতিক দেখে, দুই রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ ৷ সেইগুলিতে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যু হয়েছিল । মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর দেহ বাড়ির পাশে সিবিআই তদন্তের জন্য দেহ সমাধিস্ত করে রাখেন । ঘটনার পর থেকে পরিবারের উপর বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ । এই আতঙ্কেই পরিবারের সদস্যরা বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন ।

আরও পড়ুন :নাবালিকা ধর্ষণ ও যুবকের মৃত্যু ! পুলিশিহানার আতঙ্কে ঘর ছাড়া গ্রামবাসীরা

শুক্রবার জাতীয় এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান তদন্তে আসেন । পরিবারের সদস্যদের গ্রামে নিয়ে আসেন । পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা গ্রামে না থাকায় পরিবার সদস্যরা গাড়ি থেকেই নামেননি । মৃত মৃত্যুঞ্জয়ের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন কিছু জানানি । মৃতের ভাই মৃনালকান্তি বর্মন জানান, এসসি কমিশনের সদস্যরা তাঁদের গ্রামে এনেছেন । তাঁদেরকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে । তাই তারা বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন । রাজ্য সরকার ঘটনার তদন্তভার সিআইডি-কে দিলেও সেই তদন্তে তাদের আস্থা নেই । তারা সি বি আই তদন্তের দাবিতে অনড় ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details