রায়গঞ্জ, 15 অক্টোবর : দিনের আলো দেখেন না, তাই সূর্য ডোবার পর তৈরি করা হয় বিগ্রহ ৷ প্রতিমা তৈরির রাতেই দীপান্বিতা কালীপুজো হয় ৷ পরদিন সূর্য ওঠার আগেই নিরঞ্জন হয় প্রতিমার ৷ সারা বছর নিষ্ঠাভরে পুজো চলে ৷ এই রীতি বছরের পর বছর চলে আসছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর কালীবাড়ির পুজোয়৷
রায়গঞ্জের এই কালীপুজোয় প্রতিমা তৈরি সূর্যাস্তের পর, সূর্যোদয়ের আগে নিরঞ্জন
এই পুজোর মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়েছে জেলার বাইরেও ৷ সারা বছরই থাকে ভক্তের সমাগম ৷ বিশেষ করে কালীপুজোর রাতে হাজার হাজার ভক্তের ঢল নামে রায়গঞ্জের দেবীনগর কালীবাড়িতে ৷
এই পুজোর মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়েছে জেলার বাইরেও ৷ সারা বছরই ভক্তের সমাগম হয়৷ কালীপুজোর রাতে হাজার হাজার ভক্তের ঢল নামে রায়গঞ্জের দেবীনগর কালীবাড়িতে ৷ কথিত আছে, দিনাজপুরের ভূপালপুরের জমিদার দেবীনগরের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর গাড়ি আটকে পড়ে ৷ সেই রাতেই মা কালী তাঁকে স্বপ্নাদেশ করেন যেখানে তাঁর গাড়ি আটকে গিয়েছিল, সেখানেই মায়ের মূর্তি করে পুজো দিতে হবে । সেই থেকে ভুপালপুর জমিদার দেবীনগরে রাস্তার ধারে মন্দির তৈরি করে দীপান্বিতা কালীপুজোর দিন থেকে শুরু দেবীনগর কালীবাড়ির পুজো ।
স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী, মন্দিরের মাথায় কোনও আচ্ছাদন নেই ৷ দেবী এখানে পূজিতা খোলা আকাশের নীচে । বর্তমানে এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে অছি পরিষদ গঠন করে এই পুজো পরিচালনা করা হয় । মন্দিরের প্রণামী বাক্সে সারা বছর যে টাকা জমা পরে সেই টাকা দিয়েই দীপান্বিতা কালীপুজোর ব্যয়ভার চলে । দেবীনগর কালীবাড়ির কালীপুজোর বিশেষ নিয়ম সূর্যাস্তের পর প্রতিমা তৈরি শুরু । সেই রাতেই প্রতিমার পুজো হয়ে সূর্যোদয় হওয়ার আগেই মায়ের বিসর্জন দেওয়া হয় । এখানে মায়ের কোনও অন্নভোগ দেওয়া হয় না । ফল, মিষ্টি, লুচি ও সুজি দিয়ে পুজোর ভোগ দেওয়া হয় । এতদিন পর্যন্ত এই পুজোয় বলি প্রথা প্রচলিত থাকলেও এ বছর থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ।