জুন শুরু হলেও কুলিক পক্ষীনিবাসে দেখা নেই পরিযায়ী অতিথিদের

মে মাসের মাঝ থেকেই ভিড় জমাতে থাকে ভিনদেশি পরিযায়ীরা । কিন্তু এবছর এখনও কুলিক পক্ষীনিবাসে দেখা মেলেনি পরিযায়ী পাখিদের । চিন্তিত পরিবেশবিদদের একাংশ । কপালে ভাঁজ বন দপ্তরের আধিকারিকদের । তবে তাঁদের বক্তব্য আগামী 15 দিনের মধ্যে চলে আসবে পাখিরা ।

রায়গঞ্জ, 5 জুন: মে মাস পেরিয়ে গেলেও দেখা মেলেনি নাইট হেরন, ওপেন বিল স্টক, করমোরেন্ট ও ইগ্রেটদের । কপালে ভাঁজ পড়েছে উত্তর দিনাজপুরের বন দপ্তরের আধিকারিকদের । রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাসে পরিযায়ী পাখিদের দেখা না মেলায় হতাশ পর্যটকরা । চিন্তিত পরিবেশবিদদের একাংশ ।

এশিয়ার বৃহত্তম পক্ষীনিবাস হিসেবে পরিচিত কুলিক পক্ষীনিবাস । প্রতিবছরই এখানে ভিয়েতনাম, মায়ানমার ও সাইবেরিয়া সহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় লাখখানেক পরিযায়ী পাখি ভিড় করে । অন্যান্য বছর মে মাসের মাঝামাঝি থেকে এখানে পরিযায়ী পাখিরা আসতে শুরু করে । তাদের দেখতে বহু পর্যটকও এই সময় ভিড় জমান । কিন্তু এবছর জুন মাস পড়ে গেলেও পাখিদের দেখা মেলেনি । গতবার মে মাসের শেষ সপ্তাহেই পাখি চলে এসেছিল ।

এবার বর্ষা একটু দেরিতে ঢোকায় পাখিরা এখনও এসে পৌঁছয়নি । তবে গতকাল একদল ইগ্রেট এসেছে । কিছু ওপেন বিল স্টকও এসেছে । আশা করা যায় আর 15 দিনের মধ্যে সব চলে আসবে । জানান বিভাগীয় বন আধিকারিক দ্বীপর্ণ দত্ত ।

অন্যদিকে পরিযায়ী পাখিরা না আসায় উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদদের একাংশ । কারণ হিসেবে তাঁরা আবহাওয়ার পরিবর্তনকেই প্রাথমিকভাবে দায়ি করেছেন । এছাড়াও দূষণ ও দূষণের প্রভাবে খাদ্য সংকট অন্যতম কারণ ।