পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

শহিদ দিবসেও হেমতাবাদে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর তরফেই আয়োজন করা হয় ভার্চুয়াল সভার । এত কাছাকাছি মাইক লাগানো হয়েছিল যে দুই পক্ষের সভার উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয় ।

aa
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

By

Published : Jul 21, 2020, 10:18 PM IST

রায়গঞ্জ ,21 জুলাই : ভার্চুয়াল জনসভা নিয়েও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল । হেমতাবাদ থানার 100 মিটারের মধ্যে ব্লক সভাপতি এবং জেলা যুব সভাপতির তরফে দু'টি পৃথক ভার্চুয়াল জনসভার আয়োজন করা হয় । এদিকে মাইক লাগানোর ক্ষেত্রে যে দূরত্ব রাখা উচিত তা মেনেই দুই পক্ষের তরফে প্রায় একই জায়গায় কাছাকাছি অনেকগুলি মাইক লাগানো হয় । আর এর জেরেই তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য ঠিক মতো শুনতেই পেলেন না তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ।

জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরের খবর, ব্লক সভাপতি প্রফুল্ল বর্মণ এবং জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম পালের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব রয়েছে । সম্প্রতি ব্লক কমিটি ঘোষণা নিয়ে এই দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল । আজ 21 জুলাইয়ের ভার্চুয়াল জনসভায় বিষয়টি আরও প্রকাশ্যে আসে । হেমতাবাদ ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি স্বীকার করে নিলেও যুব সভাপতি সম্পূর্ণভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ।

আজ রাজ্যজুড়ে 21 জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ভার্চুয়াল জনসভা হয় । বাদ যায়নি উত্তর দিনাজপুর জেলাও । জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ভার্চুয়াল জনসভার জন্য সকাল থেকেই বিভিন্নস্তরের নেতা- নেত্রীরা প্রস্তুতি সেরেছিলেন । মাইক থেকে শুরু করে LED টিভি লাগিয়ে সাধারণ নেতা-কর্মীদের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দেওয়াই ছিল মূল উদ্দেশ্য । সামাজিক দূরত্ব মানার নির্দেশও ছিল । যদিও কোনও জায়গাতেই সেই অর্থে সামাজিক দূরত্ব মানার ছবি চোখে পড়েনি । আজ হেমতাবাদের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গৌতম পালের নেতৃত্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় । পাশাপাশি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে সম্প্রচারিত বার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল । এছাড়াও বাসস্ট্যান্ডের বিভিন্ন চত্বরে মাইক লাগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা পৌঁছানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছিল । এলাকার 100 মিটারের মধ্যে থানার বিপরীতে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ের সামনে একইভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা প্রচার করা হচ্ছিল দলীয় কর্মীদের মাঝে । তবে এই ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ব্লক সভাপতি প্রফুল্ল বর্মণ এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা প্রফুল্লবাবুর স্ত্রী কবিতা বর্মণ । দু'পক্ষের লাগানো মাইক এতটাই পাশাপাশি লাগানো হয়েছিল যে সম্পূর্ণ বার্তা বোঝা যাচ্ছিল না স্পষ্টভাবে । মাইকের বাড়াবাড়িতে বার্তা পৌঁছানোর উদ্দেশ্য সম্পূর্ণভাবে বিঘ্নিত হয় । ফলে এলাকার নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে স্থানীয়রা কেউই মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য শুনতে পাননি ঠিকমতো ।

এই বিষয়ে প্রফুল্ল বাবুর দাবি, "দলের যুব সভাপতি বিনা অনুমতিতেই আলাদা করে সভা করেছেন । আমাদের মধ্যে সামান্য দ্বন্দ্ব রয়েছে । এই বিষয়ে আমরা পুরোটাই ঊর্ধ্বতন নেতাদের জানিয়েছে । তাঁরা যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেই অনুযায়ী সমস্যা মেটানো হবে।" যদিও গৌতমবাবু এই বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি । তিনি বলেন, "দলের নির্দেশে আমরা ভার্চুয়াল জনসভার ব্যবস্থা করেছিলাম । এখানে কর্মীদের জন্য আলাদা করে ডিম-ভাতের ব্যবস্থা করা হয়েছিল । আমি জেলা যুব সভাপতি । আমার স্ত্রী এলাকার জেলা পরিষদ সদস্যা । দলের নির্দেশেই যা করার করেছি ।" তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি ।

For All Latest Updates

ABOUT THE AUTHOR

...view details