রায়গঞ্জ, 19 অক্টোবর : প্রতিদিনের মতো এদিনও রাতে বাড়ি ফিরেছিলেন যুব মোর্চার সহ-সভাপতি মিঠুন ঘোষ ৷ মা ফোনে কথা বলছে দেখে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন বোন ফোন করছে ৷ এরপর মিঠুনও বোনের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন ৷ সেই সময়ই তাঁর ফোনে একটি ফোন আসে ৷ মা ও বোন বাইরে বেরোতে মানা করলেও শোনেননি মিঠুন ৷ বলেছিলেন এখনই চলে আসবেন ৷
মিঠুন বাইরে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই গুলির আওয়াজ হয় ৷ এরপরই বাইরে বেরিয়ে রক্তাক্ত মিঠুনকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁর পরিবার ৷ ফোন রাখার মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই দাদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পান বেন পম্পি মিত্র ৷
টোটোয় হাসপাতাল যাওয়ার পথে যারা গুলি করেছে তাদের দুজনের নাম জেঠুর ছেলে অজিতকে বলে যান মিঠুন ৷ এরপর রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতেই চিকিৎসকরা মিঠুনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷
ইটাহারে যুব মোর্চার সহ-সভাপতি খুনে গ্রেফতার 1 আরও পড়ুন :Itahar Murder : ইটাহারে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন যুব মোর্চার সহ-সভাপতি, কাঠগড়ায় তৃণমূল
পরিবারের তরফে মিঠুনের মা কাঞ্চন ঘোষ বলেন, "ছেলের অনেক শত্রু ছিল ৷ বিজেপি করত বলে তৃণমূল ভোটে জেতার পর থেকেই কাশেম নামে এক স্থানীয় তৃণমূল কর্মী প্রায়শই আমার ছেলে মিঠুনকে হুমকি দিত ৷ বিজেপি করত বলেই ওরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলল ৷" একই বক্তব্য বোন পম্পিরও ৷ তাঁরা সকলেই মিঠুনের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ৷ এই ঘটনার জেরে মিঠুনের গ্রাম রাজগ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷ ঘটনার পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ৷
এই বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যশ বর্মা জানান, মিঠুনের বলা দুই নামের মধ্যে ইতিমধ্যেই সন্তোষ মহন্ত নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই খুনের পিছনে কারা রয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ তবে এই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই ৷
আরও পড়ুন :Islampur Murder: ইসলামপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত তৃণমূল নেতা