রায়গঞ্জ, 29 জানুয়ারি: রায়গঞ্জের কুলিক ওয়াইল্ড লাইফ অরণ্য থেকে অবৈধভাবে গাছ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে কাঠ পাচারকারীরা। এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কুলিক অভয়ারণ্যের ভেতর থেকে রাতের অন্ধকারে গাছ কেটে নিয়ে তা কুলিক নদীর জলে ভাসিয়ে নিয়ে পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রায়গঞ্জ ডিভিশনের বিভাগীয় বন আধিকারিক সোমনাথ সরকার জানিয়েছেন, ভূমিক্ষয় হওয়ার ফলে কিছু গাছ পড়ে গিয়েছে। তবে অরণ্যের গাছ চুরি হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কুলিক অরণ্যে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।
রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন কুলিক নদীর ধারেই রয়েছে সুবিশাল কুলিক অভয়ারণ্য। এই কুলিক অভয়ারণ্যের মাঝেই রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম কুলিক পক্ষীনিবাস। শাল, সেগুন, অর্জুন, মেহগনি-সহ বহুমূলের হাজার হাজার গাছ রয়েছে এই সুবিশাল অরণ্যজুড়ে। রায়গঞ্জ বাহিন গ্রামপঞ্চায়েত ও কমলাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের বেশকিছু গ্রামের পাশ দিয়েই রয়েছে কুলিক অভয়ারণ্য। এই কুলিক অভয়ারণ্যের একটা দিকে নেই কোনও ব্যারিকেড বা সীমানা প্রাচীর। অরণ্যে প্রহরায় বনদপ্তরের রক্ষীরা থাকলেও পর্যাপ্ত রক্ষীর অভাবে গোটা অভয়ারণ্যে নজরদারি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে দিনের পর দিন রাতের অন্ধকারে কাঠ চোরাকারবারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। অরণ্যের একের পর এক গাছ কেটে কুলিক নদীর বহমান জলে ভাসিয়ে দুষ্কৃতীরা তা পাচার করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দিনের পর দিন কুলিক অরণ্যে থেকে গাছ পাচার হয়ে গেলেও, সেভাবে নজরদারি নেই জেলা বন দপ্তরের। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে কুলিক অভয়ারণ্যের গাছ কেটে তা পাচার করা হচ্ছে। কুলিক অরণ্যের ভেতরে বহু গাছ কাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে।