রায়গঞ্জ, 8 মে : অন্যান্য বছর বৈশাখ মাস মানেই বিয়ের মাস ৷ চলে জ্যৈষ্ঠ আষাঢ় ও শ্রাবণ পর্যন্ত ৷ আর মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে চাহিদা থাকে ফুলের ৷ রমরমিয়ে চলে ফুলের ব্যবসা ৷ মুখে চওড়া হাসি ফুল চাষিদেরও ৷ তবে এবারের চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা ৷ কোরোনা সংক্রমণ বাধ সেধেছে চাষি থেকে ব্যবসায়ীদের রোজগারে ৷ ক্রেতার অভাবে মাঠেই শুকিয়ে গেছে ফুল ৷ দেশ থেকে জেলা সর্বত্রই এই অবস্থার সম্মুখীন ফুল চাষ ৷ ব্যতিক্রমী নয় রায়গঞ্জও ৷ তবে লকডাউনের মাঝে আগেই ছাড়পত্র পেয়েছিল জরুরি জিনিস বিক্রির দোকানগুলি ৷ এবার সেই তালিকাতে জুড়েছে ফুলের দোকানও ৷ সরকারি এই ঘোষণার পর ফুল চাষি থেকে ব্যবসায়ীদের মুখে স্বস্তির হাসি ফুটলেও , তা দীর্ঘস্থায়ী হল না ক্রেতার অভাবে ৷
রায়গঞ্জে সংকটে ফুল ব্যবসায়ীরা - রায়গঞ্জ
সরকারি ঘোষণার পরে ফুল ব্যবসায়ী কিছুটা স্বস্তির পেলেও নেই ক্রেতাদের ভিড় । লকডাউনের বাজারে জমায়েত এড়ানোর কারণে বন্ধ রয়েছে মাঙ্গলিক কাজকর্ম ৷
বৈশাখ,আষাঢ় ও শ্রাবণ মাস মানেই মাঙ্গলিক কাজের মাস ৷ তবে এবার জমায়েত এড়ানোর নির্দেশ মেনেই বন্ধ রয়েছে পুজো-পার্বণ থেকে মাঙ্গলিক কাজ ৷ আগে বরাত পেলেও সেগুলিকে ক্রেতারা বাতিল করে দিচ্ছেন ৷ কোরোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউনের জেরে প্রায় সব ধরনের উৎসব অনুষ্ঠান বন্ধ ফলে দেশের অন্য চাষিদের মতোই চরম সমস্যার মুখে রায়গঞ্জের ফুল ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতার অভাব নিয়ে রায়গঞ্জের এক ফুল ব্যবসায়ী তপন সাহা জানান," লকডাউনের কারণে বিয়ের অর্ডার সমস্ত বাতিল হয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পরে গিয়েছি। কোনও ক্রেতার দেখা নেই, দোকান খুলে বসেই আছি শুধু । একদিকে ফুল বিক্রি হচ্ছে না অন্যদিকে 8 জন কর্মচারীদের বসে বসে বেতন দিতে হচ্ছে। এই সময় আমাদের ফুলে ব্যবসা ভালো হয় ৷ কিন্তু এবারে লকডাউনের ফলে সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যাওয়া সমস্যায় পড়ে গিয়েছি ।"