রায়গঞ্জ, 29 জুন : করোনা আবহে বন্ধ স্কুল ৷ শহুরে মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানরা অনলাইনে পড়াশোনার সুযোগ পেলেও গ্রাম-গঞ্জের হতদরিদ্র শিশুরা তা থেকে বঞ্চিত ৷ আর সেই কারণেই এইসব দুঃস্থ শিশুদের জন্য চালু হল শিক্ষাশিবির ৷ সৌজন্যে নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ শাখা ৷ তবে যে পরিবেশে বাচ্চাদের পড়ানো হচ্ছে, তা স্বাস্থ্যকর নয় মোটেই ৷ শারীরিক দূরত্ব মানারও কোনও বালাই নেই ৷ এমনকী, যাঁরা পড়াচ্ছেন, সেই মাস্টারমশাইদের মুখেও মাস্ক রয়েছে নাম কা ওয়াস্তে ৷ প্রশ্ন উঠছে, এতে হিতে বিপরীত হবে না তো ? পর্যাপ্ত পরিকাঠামো ছাড়াই শিক্ষাশিবির চালু করে শিশুদের বিপদে ফেলা হচ্ছে না তো ?
হেমতাবাদের ঠাকুরবাড়ি এলাকায় একটি চালাঘরেই চলছে পঠনপাঠন ৷ প্রাথমিকভাবে পড়ুয়া সংখ্যা 20 ৷ মঙ্গলবার একেবারে অনাড়ম্বরভাবেই একটি প্লাস্টিকের চেয়ারে মোমবাতি জ্বালিয়ে শিবিরের উদ্বোধন করা হয় ৷ উপস্থিত ছিলেন নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির হেমতাবাদ শাখার সম্পাদক গৌরচন্দ্র মণ্ডল, সংগঠনের জেলা সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু রায়চৌধুরী-সহ অন্যরা ৷ বাচ্চাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়াতে নতুন বই, খাতা, পেন, পেনসিলের পাশাপাশি দেওয়া হয় চকোলেটও ৷ তাতে খুশি খুদেরাও ৷
আরও পড়ুন :শিশুদের টিকা এলেই খোলা যাবে স্কুল, আশাবাদী এইমস প্রধান
উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, গ্রামের গরিব মানুষের পক্ষে বাচ্চার জন্য অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয় ৷ সেই সাধ্য বা সামর্থ বাবা-মায়েদের নেই ৷ স্কুলগুলিতেও পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে ৷ অথচ করোনা আবহে লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যেও শিক্ষকদের বেতন বন্ধ হয়নি ৷ গত প্রায় দেড় বছর ধরে কার্যত ঘরে বসেই মাইনে পাচ্ছেন তাঁরা ৷ অথচ পড়ুয়াদের তাতে কোনও লাভ হচ্ছে না ৷ উপরন্তু স্কুল বন্ধ থাকায় পড়ার অভ্যেসটাই চলে যাচ্ছে অনেকের ৷