রায়গঞ্জ, 11 ডিসেম্বর: কৃষ্ণের বাঁশির সুরে বিমোহিত হয়ে তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন রাধা। জার্মানির বিখ্যাত হ্যামিলিয়নের বাঁশিওয়ালার গল্পও জানে সারা পৃথিবী। পাশাপাশি, বিখ্যাত গীতিকার মনিরুজ্জামান মনিরের 'সখি কারে ডাকে ঐ বাঁশি নাম ধরিয়া, তুই দে না বলিয়া' আজও সবার কানে বাজে। বাঁশি নিয়ে এমন হাজারো কবিতা, গান, প্রেম উপাখ্যান, গল্প লিখেছেন বিশ্বের নামীদামী লেখকরা। তবে আপনাদের পরিচয় করাবো এক অভিনব বাঁশিওয়ালার সঙ্গে ৷
রায়গঞ্জ ব্লকের গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইটাল গ্রামের বাসিন্দা চিত্ত সিং 'বাঁশিওয়ালা কাকু' নামেই বেশি পরিচিত। পেশায় টোটো চালক। ষাটোর্ধ্ব এই মানুষটি এখন সকলের চোখের মণি। তার বিশেষত্ব হল তিনি পা দিয়ে টোটো চালান। আর হাত দিয়ে বাজান বাঁশি। মানুষের পছন্দ মতো ভিন্ন ভিন্ন সুর তোলেন বাঁশিতে। সকলে টোটো সফর করতে করতে তা উপভোগও করেন। শুধু বাঁশি নয়। সমান তালে দোতারাও বাজান তিনি। আর এভাবেই কেটে যায় জীবন।
চিত্ত বাবু জানান, পা দিয়ে টোটো চালিয়ে তিনি অনেক দূর পর্যন্ত পৌঁছে যান। কখনও ঝুঁকি মনে হয় না। এভাবে তিনি প্রায় কয়েক বছর ধরে মানুষকে বিনোদন দিয়ে চলেছেন। তিনি জানালেন, মনে অনেক ব্যাথা। সেই কষ্ট লাঘব করতে বাঁশিই একমাত্র ভরসা। খানিকটা আক্ষেপের সুরেই বললেন, "বাঁশির জন্যই বেঁচে আছি, আমি একা, আমায় কে দেখবে ভগবান ছাড়া?"