রায়গঞ্জ, 20 জুলাই : কোরোনা সংক্রমণ ঠেকাতে স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার প্রয়োজন ৷ তবে, তাতে অ্যালকোহলের পরিমাণ হতে হবে 60 থেকে 70 শতাংশ কিংবা তার বেশি ৷ তার কম হলে সেই স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করা উচিত নয় ৷ এমনটাই পরামর্শ দিলেন রায়গঞ্জের চিকিৎসক জয়ন্ত ভট্টাচার্য ।
দেশব্যাপী লাফিয়ে বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৷ কয়েকটি জায়গায় গোষ্ঠী সংক্রমণও শুরু হয়েছে বলে সম্ভাবনা ৷ এই কোরোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পড়া, স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সরকারিভাবে নির্দেশ জারি হয়েছে । এরপরই মানুষ স্যানিটাইজ়ারের গুণাগুণ বিচার না করেই ব্যবহার করতে শুরু করেছে । নিয়ম না মেনেই ব্যবহার শুরু করেছেন স্যানিটাইজ়ার ৷ মার্চ মাসে কোরোনা সংক্রমণ ছড়ানোর সময় প্রথমে স্যানিটাইজ়ারের আকাল দেখা দিলেও এখন একাধিক কম্পানি স্যানিটাইজ়ার প্রস্তুত করে বাজারে ছেড়েছে । লাগাতার লকডাউনের জন্য মানুষের উপার্জন প্রায় নেই ৷ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা একেবারেই তলানীতে । কিন্তু, জীবন বাঁচাতে মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করতেই হচ্ছে । তাই ছোট বড় বহু ব্যবসায়ী স্যানিটাইজ়ার, মাস্ক বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন । চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সমস্ত দোকানেই মাস্ক এবং স্যানিটাইজ়ার রাখছেন । কারণ , মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার এখন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে গেছে ৷ প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার । লকডাউন পিরিয়ডে মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা কোনও ক্রমে দিন গুজরান করছেন । ক্রেতাদের দাবি কোরোনা সংক্রমণের আগে এই স্যানিটাইজ়ার তেমন ব্যবহার হত না । এখন প্রতিনিয়ত স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করতে হচ্ছে । দোকানে অনেক কম্পানির স্যানিটাইজ়ার বিক্রি হচ্ছে । সেখান থেকে একটি কম্পানির স্যানিটাইজার পছন্দ করে ব্যবহার করছেন মানুষ । তার গুণাগুণ সম্পর্কে অতটা হলেও ওয়াকিবহাল নয় কেউই ।