রায়গঞ্জ, 15 নভেম্বর : কাছ থেকে আবৃত্তি শুনেছেন । সৌমিত্র চট্টাপাধ্যায়ের মত মানুষের বাড়িতে যাওয়াটাও আলাদা অভিজ্ঞতা । আজও সে কথা ভুলতে পারেননি রায়গঞ্জ ছন্দম নাট্য গোষ্ঠীর নাট্যকার হরিনারায়ণ রায় । সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণ করলেন বামপন্থী নেতা তথা নাট্যকার হরিনারায়ণ রায় ।
"বাড়িতে শরীরচর্চা করছিলেন", সৌমিত্রর স্মৃতিচারণায় নাট্যকার হরিনারায়ণ
বামপন্থী আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সৌমিত্র চট্টােপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন হরিনারায়ণ রায় সহ আরও দুজন ।
রায়গঞ্জ ছন্দম নাট্য গোষ্ঠী অন্যতম নাট্যকার হরিনারায়ণ রায় । সালটা 1968-69 । বয়সটাও কম ছিল । বামপন্থী আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সৌমিত্র চট্টােপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন হরিনারায়ণ রায় সহ আরও দুজন । একজন অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যজন সুধাংশু দে । প্রত্যেকেই বামপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত । বেলা বারোটার নাগাদ সৌমিত্র চট্টাপাধ্যায় বাড়িতে পৌঁছান ৷ তখন তিনি বাড়িতেই শারীরিক কসরত করছিলেন । খালি গায়ে সৌমিত্রবাবু তাঁদের কাছে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন । যে আবেদন নিয়ে সৌমিত্রবাবুর কাছে তাঁরা গিয়েছিলেন সেই আবেদন তিনি রাখতে পারেননি । পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় সেই সময় তিনি রায়গঞ্জে আসতে পারেননি । পরবর্তীতে 1982 বা 1983 সালে রায়গঞ্জে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁর কাছে আমন্ত্রন জানালে তিনি সেই আমন্ত্রণ প্রত্যাখান করেননি ।
প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীত শিল্পী ভূপেন হাজারিকা এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় রায়গঞ্জ ছন্দম মঞ্চে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন । ভূপেন হাজারিকার গান এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আবৃত্তি অনুষ্ঠানকে অন্য শিখরে পৌঁছে দিয়েছিলেন । ছন্দম মঞ্চে প্রবেশ করে সর্বসাধারণের জন্য রাখা নয় নম্বর আসনে বসেছিলেন । সেখান থেকে মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল । হরিনারায়ণবাবু বলেন, "সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে দেশ তথা রাজ্যের বামপন্থী এবং সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ক্ষতি হল ৷"