রায়গঞ্জ, 13 এপ্রিল : রাত পোহালেই বাংলা নববর্ষ। পুরোনো বছরের সবকিছু পিছনে ফেলে এই দিনটিতে নতুনের আগমনে মেতে ওঠে বাঙালি । কোথাও গাজন উৎসবের মেলা, কোথাও হালখাতা, লক্ষ্মী গণেশের পুজো । খাওয়া-দাওয়া,নতুন পোশাক-পরিচ্ছদ সবকিছু মিলিয়ে বর্ষবরণে মেতে ওঠে আপামর বাঙালি । কিন্তু এবার সেই আনন্দ, উৎসবের রং সব ফিকে করে দিয়েছে কোরোনা । একই ছবি ধরা পড়ল রায়গঞ্জে । নেই মেলা, কোনও আনন্দ আয়োজন। শুধু ঘরবন্দি হয়ে সুদিনের অপেক্ষায় মানুষজন ।
রাত পোহালেই বাংলা নববর্ষ, কোরোনা থাবায় ফিকে আনন্দের রং - lock down
কোরোনা সংক্রমণের জেরে লকডাউন চলছে দেশে । তাই বন্ধ সমস্ত মেলা, উৎসব, আয়োজন। এবারের নববর্ষ আপাতত ঘরবন্দী হয়েই পালন করতে হচ্ছে বাঙালিদের ।
দিন দিন বাড়ছে কোরোনা সংক্রমণ । ইতিমধ্যেই রাজ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে । তাই সংক্রমণের ভয় আর প্রিয়জনকে হারানোর শোকে এবারের পয়লা বৈশাখ থমথমে । নিস্তব্ধ। সংক্রমণ প্রতিরোধে 21 দিনের লকডাউন চলছে দেশে । এবার সময়সীমাও বাড়বে । এই অবস্থায় বন্ধ সমস্ত মন্দিরের দ্বার । কোনও উৎসব, মেলা বা জমায়েত করারও অনুমতি নেই । একই অবস্থা রায়গঞ্জেরও । দোকান বন্ধ । তাই উধাও দোকানের ভিড়। বন্ধ হালখাতার অনুষ্ঠান । দোকানগুলিতে আমপাতা সিঁদুরের বদলে জমছে ধুলো-ফাঁদ । লালশালু বাঁধানো মহাজনী খাতা আপাতত দোকানের ভিতরেই । তাই রায়গঞ্জের প্রতিবছরের চেনা ছবি এবার উধাও । রাস্তাঘাট-বাজারহাট সব শুনসান ।
রায়গঞ্জের একটি খাতা-কাগজের দোকান মালিক সন্তু সাহা বলেন, "প্রতিবছর এই সময় মহাজনী খাতার প্রচুর চাহিদা থাকে। কিন্তু লকডাউনের জন্য দোকান বন্ধ। গণেশ পুজোও হবে না। নতুন খাতার কেনার জন্য আগাম অনেক টাকা দিয়েছিলাম । তবে গাড়ি বন্ধ থাকায় সেগুলিও আসেনি। অনেক টাকা আটকে আছে আমাদের। এবছর বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ।"