রায়গঞ্জ, 18 জুলাই : লকডাউনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা । রায়গঞ্জেও সেই একই ছবি দেখা যাচ্ছে । ব্যবসা বন্ধ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের । রায়গঞ্জ তথা উত্তরবঙ্গের প্রখ্যাত চিত্র সাংবাদিক সংসার চালানোর জন্য ফুটপাথে ফল বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন । এইবার পেটের দায়ে রাস্তায় মাস্ক ফেরি করছেন ব্যাগ কারখানার মালিক । কারণ লকডাউনে বন্ধ হয়েছে মুন্না কর্মকারের কারখানা । আজ তিনি সর্বহারা ।
রায়গঞ্জ শহরের শক্তিনগর এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যাগ কারখানার মালিক মুন্না কর্মকার । পরিবারে রয়েছে মা, স্ত্রী, ছেলে । সংসার চালানোর জন্য এখন সাইকেলে করে ফেরি করছেন মাস্ক । কারণ চারমাস তাঁর ব্যাগ তৈরির কারখানা বন্ধ । বকেয়া টাকা প্রচুর । ফিরে পাননি । সঞ্চয় তলানিতে, বলা ভালো প্রায় শেষ । কার্যত বাধ্য হয়েই এখন মাস্ক ফেরিওয়ালা মুন্না । তবে তাঁর এবং তাঁর কর্মচারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর তথা রায়গঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় । কর্মহীন হয়ে পড়া মহিলাদের প্রতিমাসেই খাদ্য সামগ্রী দিয়ে চলেছেন বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় ।
শক্তিনগর এলাকায় মুন্নার ব্যাগ তৈরির কারখানায় থাকত চরম ব্যাস্ততা । 20-25 জন মহিলা অনবরত কাপড় ও নাইলনের ব্যাগ তৈরি করতেন । রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ডালখোলা থেকে শুরু করে বিহারের কিশানগঞ্জ, আজমনগর, বাইসি, শালমারি সহ বহু জায়গায় বস্ত্র-বিপণীতে ব্যাগ সরবরাহ হত । রোজগারও ছিল ভালোই । কিন্তু আচমকাই জারি হওয়া লকডাউনে আজ তিনি নিঃস্ব ।