রায়গঞ্জ, 21 জুন:ঘটনার দিনই মনসুরের মৃত্যু হলেও পুলিশ বিষয়টি চেপে রেখেছিল বলে অভিযোগ, মৃত মনসুরের দাদু গিয়াসউদ্দিনের। এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, "যারা আমার নাতিকে গুলি করে খুন করেছে তাদের শাস্তি চাই ৷" ছয় দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের পর হার মানতে হল 23 বছরের তরতাজা যুবক মনসুর আলিকে। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এই মৃত্যুর জন্য চোপড়া ব্লক প্রশাসনকে দায়ী করেছেন বাম ও কংগ্রেস নেতারা। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে মনসুর হত্যার অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মনোনয়ন জমা দিতে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া বিডিও অফিসে যাচ্ছিলেন কাঁঠালবাড়ি এলাকার সিপিএম এবং কংগ্রেসের প্রার্থী ও দলীয় নেতা-কর্মীরা ৷ সেসময় তাঁদের ওপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সশস্ত্র হামলা চালায় বলে অভিযোগ। চলে এলোপাথাড়ি গুলি ৷ ঘটনায় বেশকয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন ৷ তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ তারমধ্যে মনসুর আলমের অবস্থা সংকটজনক থাকায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।