রায়গঞ্জ, 14 সেপ্টেম্বর : সম্প্রতি হেমতাবাদ বিধানসভার BJP-র বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুকে ঘিরে ইতিমধ্যেই নানান জল্পনা-কল্পনা তৈরি হয়েছে । এমনকী তাঁর মৃত্যু আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার এমন অভিযোগ করেছে প্রায় সবকটি বিরোধী দল । তাঁর মৃত্যুর তদন্তের মাঝেই এবারের নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধল । রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত ওই আসনে উপনির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি করলেন । তাঁর দাবি ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের জোট নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে ওই আসনের জন্য যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে। হেমতাবাদ এলাকায় ফের জোটের প্রার্থী আসন পুনরুদ্ধার করবেন বলেও দাবি করেছেন তিনি । আর এই দাবি নিয়েই রীতিমতো তৃণমূল কংগ্রেস এবং BJP-র নেতারা সুর চড়িয়েছেন । তাঁদের দাবি কংগ্রেস বামফ্রন্ট বর্তমানে আর জেতার জায়গায় নেই । তাই এই ধরনের কথাবার্তা অলীক কল্পনা মাত্র ।
হেমতাবাদ বিধানসভার বরাবরই CPI(M)-র শক্ত গড় বলেই পরিচিত । দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকাতে বিধানসভা নির্বাচনে CPI(M) নিজেদের শক্ত ঘাঁটি করে রেখেছিলেন । প্রয়াত বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায় বামফ্রন্ট থেকেই পরবর্তীকালে 2019 লোকসভা নির্বাচনের আগে BJP-তে যোগদান করেছিলেন । এলাকায় অন্যান্য দলের থেকে অনেক বেশি মাত্রায় বামদলের একটা যে প্রভাব ছিল খুব স্বাভাবিক ভাবে বোঝা যায় । এলাকায় সংগঠনের কাজের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে থাকতে দেখা যায়। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। দেবেন বাবু BJP-তে যোগদান করার পর ওই এলাকার মানুষের মধ্যে BJP-র দিকে ঝুঁকে যাওয়ার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে ।সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্যান্য দল ছেড়ে BJP-তে যোগদান করেছিলেন কাজেই ওই এলাকায় সংগঠন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করছেন জেলা BJP নেতারা । অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস জেলার বিভিন্ন ব্লক এবং বিধানসভা এলাকায় নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির জন্য নানান ধরনের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে । তাদের দাবি হেমতাবাদ সহ বিভিন্ন এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে ।একইভাবে কংগ্রেস এবং CPI(M)-র যে জোট তৈরি হয়েছে রাজ্যজুড়ে সেই জোটের ক্ষমতা অনেক বেশি বলে কংগ্রেস এবং CPI(M) উভয় পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। এমত অবস্থায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের কোন উপনির্বাচন হবে কিনা তা এখনও পর্যন্ত ঠিক না হলেও কংগ্রেস বিধায়কের দাবি ওই এলাকাতে উপ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত প্রকট। সেই কারণেই CPI(M)-র জেলা নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। যদিও সবটাই রায়গঞ্জের বিধায়কের কল্পনামাত্র বলেই মন্তব্য করেছেন জেলার BJP এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব । তাদের দাবি যে দলগুলির বর্তমানে কোন অস্তিত্ব নেই যারা নিজেদের অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে তারা কোন এক বিধানসভা এলাকায় নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে পারবে এমন চিন্তা ভাবনা টা সঠিক নয়।