রায়গঞ্জ, 2 এপ্রিল: বিহারের মুজফফরপুর এলাকা থেকে পায়ে হেঁটে বীরভূম যাওয়ার পথে রায়গঞ্জে পুলিশের হাতে আটক হল 2 শ্রমিক। তাঁদের পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে কোয়ারান্টাইন সেন্টারে । লাগাতার এইভাবে একের পর ভিনরাজ্যের শ্রমিক রায়গঞ্জে ধরা পড়ায় চিন্তায় পড়েছে প্রশাসন।
ফের বিহার ফেরত বীরভূমের শ্রমিকদের রায়গঞ্জে আটকাল পুলিশ
কোরোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন ৷ ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে আটকে পড়েছেন শ্রমিকরা ৷ ভিনরাজ্যে আটকে পড়ে প্রায় অনাহারে দিন কাটছে তাঁদের ৷ লকডাউন খোলার অপেক্ষায় না থেকে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা ৷ বিহারের মুজফফরপুর এলাকা থেকে পায়ে হেঁটে বীরভূম যাওয়ার পথে রায়গঞ্জে পুলিশের আটক করল 2 শ্রমিককে ৷ তাঁদের পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে কোয়ারান্টাইন সেন্টারে ৷
কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ২৫ মার্চ থেকে দেশজুড়ে লক ডাউন শুরু হয়েছে। লকডাউনের জেরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছেন ভিনরাজ্যের শ্রমিকেরা। বিভিন্ন সময় ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আত্মীয় পরিজন শুভানুধ্যায়ীরা তাঁদের পরিস্থিতির কথা ব্যাক্ত করলেও কোনও সুরাহা হয়নি। ভিনরাজ্যে আটকে পড়ে প্রায় অনাহারে দিন কাটছে তাঁদের। এই অবস্থায় লকডাউন খোলার অপেক্ষা করলে তাঁদের না খেতে পেয়েই মরতে হবে। এমন আশঙ্কা থেকেই লক ডাউন খোলার অপেক্ষায় না থেকে বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটেই শ'য়ে শ'য়ে কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন ভিনরাজ্যের শ্রমিকেরা। এমনই 2 জন শ্রমিকের দেখা মিলল রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোড় এলাকায়। বীরভূমের বাসিন্দা ভিনরাজ্যের শ্রমিকের কাজ নিয়ে গিয়েছিলেন বিহার রাজ্যের মুজফফরপুর এলাকায়। লকডাউনে আটকে পড়েন তাঁরা। তবে রায়গঞ্জে আসতেই তাঁদের ধরে ফেলে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাদের পরিচয় জানার পর শেষমেশ স্বাস্থ্য দপ্তরের সাহায্য নিয়ে তাঁদের কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়।
ওই শ্রমিকদের মধ্যে গফফর শেখ বলেন,‘‘বিহারের মুজফফপুর এলাকায় কাজে গিয়েছিলাম।সেখানে গিয়ে আটকে পড়েছিলাম।শেষমেশ পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরছিলাম।পুলিশ আমাদের ধরেছে।এরা আমাদের পরীক্ষা করতে নিতে গেলে নিয়ে যাবে। আমাদের কিছু আপত্তি নেই।’’