রায়গঞ্জ, 30 এপ্রিল:"দিদি জাতে মাতাল, তালে ঠিক ৷ কেষ্ট মণ্ডল যাতে দুর্নীতির ঢোল না-ফাটিয়ে দেয় তাই তাঁকে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি করে রেখে দিয়েছেন ৷" রবিবার এভাবেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী ৷
এদিন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে দলীয় কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন অধীর চৌধুরী ৷ সেখানে তিনি গরুপাচার মামলায় ধৃত বর্তমানে জেলবন্দি তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করে জানান, কেষ্ট একা টাকা খায়নি, কেষ্টর টাকা যারা খেতেন তারা এখন কেষ্টাকে বোঝা মনে করছেন । কেষ্টাকে নামাতে চাইছে কিন্তু পারছে না ৷ অধীরের অভিযোগ, শুধু বীরভূম নয়, রাজ্যের প্রতিটা জেলায় যে দুর্নীতি হয়েছে ৷ তার ভাগ পেয়েছে তৃণমূল ৷
অধীর এদিন আরও বলেন, "সিবিআই আর ইডির তদন্ত যত এগোবে জেলায় জেলায় তৃণমূলের চোরদের সংখ্যা তত বারবে । পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে জেল তৈরি করতে হবে ৷ কেষ্ট মণ্ডল যে চুরিটা করেছে দিদি কি কালিঘাটের মন্দিরে দাঁড়িয়ে বলতে পারবেন যে তিনি সেই টাকার ভাগ নেননি ।" প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দাবি, এত বিপুল পরিমাণ চুরি কেউ একা করতে পারে না ৷ কেউ গরু-গাধা নয়, অনুব্রত মণ্ডলকে যে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে তা সবাই বুঝতে পারছে ৷
আরও পড়ুন: সুকন্যাকে গ্রেফতার করেও তিন কোটির হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে ইডি
উল্লেখ্য, সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট ৷ তার আগে যেভাবে একের পর এক দুর্নীতিতে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের নেতা-বিধায়কদের নাম জড়াচ্ছে, তাঁরা গ্রেফতার হচ্ছেন তা ঘাসফুল শিবিরের কাছে যথেষ্ট অস্বস্তির ৷ বিষয়টি নিয়ে ময়দানে নেমেছে বিরোধী দলগুলিও ৷ গরুপাচার মামলায় গত বছর অগস্টে গ্রেফতার বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ৷ দিনকয়েক আগেই এই মামলায় তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছে ইডি ৷