পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

বয়স বাড়িয়ে 'জয় বাংলা' প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার চেষ্টা, অভিযুক্ত 36 - trying to put their name for Jai Bangla Project illegally

রায়গঞ্জ ব্লকের বিরঘোই অঞ্চলের BJP সদস্য তুলো বর্মণের স্বামী সুব্রত বর্মণের নামে টাকা নিয়ে জয় বাংলা প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে । মোট 36জনের নাম দিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন BDO রাজু লামা ।

রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি
রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি

By

Published : May 3, 2020, 9:14 PM IST

রায়গঞ্জ, 3 মে : বয়স বাড়িয়ে টাকার বিনিময়ে বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প 'জয় বাংলা'-র সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের বিরুদ্ধে । এই বিষয়ে তদন্ত করার আবেদন জানিয়ে ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন BDO রাজু লামা । মোট 36জনের নাম দিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি ।

রায়গঞ্জ ব্লকের বিরঘোই অঞ্চলের BJP সদস্য তুলো বর্মনের স্বামী সুব্রত বর্মণের নামে টাকা নিয়ে জয় বাংলা প্রকল্পে নাম নথিভূক্ত করার অভিযোগ উঠেছে । একদিকে যখন বার্ধক্য ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধার থেকে অনেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন, সেই সময় এই ধরনের প্রতারণার অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে প্রশাসনের আধিকারিকরাও । রায়গঞ্জের BDO-র অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । ওই 36জনের খোঁজ খবর নিয়ে তদন্ত চলছে ।

এই বিষয়ে রায়গঞ্জের BDO রাজু লামা জানান, "গত মাসে এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ রায়গঞ্জ থানায় করা হয়েছে । মোট 36 জনের নথিপত্র পর্যবেক্ষণ করার পর সেগুলি জাল মনে হয়েছে । বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছে ।" এই বিষয়ে এলাকার বাসিন্দা বলেন, "আমাদের নথিপত্র পঞ্চায়েত সদস্য চেয়েছিল আমরা সেটা দিয়ে দিয়েছি । তার সঙ্গে টাকাও নিয়েছে পঞ্চায়েত সদস্য । এখনও 60 বছর বয়স হয়নি । তা সত্ত্বেও কীভাবে বার্ধক্য ভাতা পাব সেটা জানা ছিল না । এখানকার পঞ্চায়েত সদস্য বললেন তিনি বিষয়টি দেখে নেবেন ।" আরও এক স্থানীয় বাসিন্দা শেফালি বর্মণ বলেন, "আমাদের মেম্বারের স্বামী সুব্রত বর্মণ বয়স না হওয়া সত্ত্বেও ফর্ম জমা করতে বলেছিলেন । আমরা সেটাই করেছি । কীভাবে বার্ধক্য ভাতা আমরা পাব তা জানা নেই । এখন শুনছি এটা ভুল হয়েছে । কিন্তু আমরা পড়াশোনা জানি না । পঞ্চায়েত সদস্য যা বলেছেন সেটাই করেছিলাম ।"

যদিও পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী সুব্রত বর্মণ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । তিনি বলেন, "এখানকার বাসিন্দারা তাদের নিজেদের ইচ্ছাতেই আমার বাড়িতে এসে ফর্ম জমা করে দিয়ে গিয়েছিল । আমি তা ব্লক অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি । এর জন্য কোনও টাকা আমি নিইনি । যারা ফর্ম জমা করেছে, তাদের নথিপত্র পর্যবেক্ষণ করা ব্লক অফিসের দায়িত্ব । তারা সমস্ত পরীক্ষা করে যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই মানা হবে ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details