রায়গঞ্জ, 17 মে : গৌড়বঙ্গের মধ্যে এই প্রথম কোনও পৌরসভা এলাকাতে কোরোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেল। ফলে কোরোনা সংক্রমণের খবর আসতেই নড়েচড়ে বসেছে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা। শনিবার রাতে কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা এক যুবকের দেহে কোরোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলতেই পৌরসভার 4 নম্বর ওয়ার্ডের থানাপাড়া এলাকাকে পুরোপুরিভাবে সিল করে দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকা দিয়ে কোনওভাবেই কেউ বাইরে আসতে পারবেননা এবং বাইরের কেউ ওই এলাকায় যেতে পারবেন না। তার জন্য নজরদারি চালাতে বসেছে পুলিশ পিকেট। তবে এলাকাবাসী যাতে কোনওভাবেই কোনও অসুবিধা না হয় তা নিশ্চিত করতে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা তরফ থেকে একটি বিশেষ দল তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
কালিয়াগঞ্জ পৌরসভায় এক যুবক কোরোনা আক্রান্ত - থানাপাড়া এলাকা
কোরোনা সংক্রমণের খবর আসতেই নড়েচড়ে বসেছে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা। শনিবার রাতে কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা এক যুবকের দেহে কোরোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলতেই পৌরসভার 4 নম্বর ওয়ার্ডের থানাপাড়া এলাকাকে পুরোপুরিভাবে সিল করে দেওয়া হয়েছে।
এই বিশেষ দল ওই এলাকাবাসীদের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী থেকে শুরু করে ওষুধপত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী এক ফোনের মাধ্যমেই সময়মতো পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। কোনওভাবেই যাতে মানুষ সমস্যায় না পড়েন তা নিশ্চিত করতেই এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পৌরসভা আধিকারিকরা। অন্যদিকে জানা গিয়েছে আক্রান্ত যুবকের বাবা-মা এবং নিকটাত্মীয় পাঁচজনের লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, ওই যুবক দিল্লিতে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে তিনি কোনওভাবে কলকাতায় এসেছিলেন। তারপর গত 6 দিন আগে সে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় ফিরে আসেন। তাঁকে কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখা হয়েছে। গতকাল রাতে মালদা মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি ডিপার্টমেন্ট থেকে তাঁর দেহে কোরোনা ভাইরাসের অস্তিত্বের কথা স্বীকার করা হয়।
কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন, "আমরা থানাপাড়া এলাকায় এক ব্যক্তির কোরোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেতেই এলাকাকে পুরোপুরিভাবে সিল করে দিয়েছি। যাতে কোনওভাবেই কেউ ওই এলাকায় যাতায়াত করতে না পারেন ।প্রশাসনের তরফ থেকে বারবার করে ওখানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য স্যানিটাইজ়েেশন করা হচ্ছে। তবে এলাকায় যেহেতু আগামী 14 দিনের জন্য পুরোপুরিভাবে বন্ধ থাকবে তাই সেখানকার বাসিন্দাদের যাতে সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করতে আমরা একটি বিশেষ দল তৈরি করে দিয়েছি। যারা এলাকাবাসীর যেকোনো প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করবেন।" এছাড়াও শহর জুড়ে বিভিন্ন এলাকাতে আমরা স্যানিটাইজড করার কাজ চলছে। বাসিন্দাদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে পৌরসভার পক্ষ থেকে ।